Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে আয়োজিত সিডস সম্মেলনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে আয়োজিত সিডস সম্মেলনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
[publishpress_authors_box]

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘ আয়োজিত ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সম্মেলনের (সিডস) দ্বিতীয় দিনে ড. হাছান মাহমুদ এই আহ্বান জানান।

বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট জনসের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব অ্যান্টিগুয়ার প্রধান মিলনায়তনে সিডস সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মুখপাত্র হিসেবে এবং ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রের অম্লতাবৃদ্ধি এবং চরম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে।

“পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোকে জবাবদিহিমূলক প্রতিশ্রুতির আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন।”

সে লক্ষ্যে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এ ২০২৫ সাল পরবর্তী সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু ঝুঁকির অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে জাতিসংঘ সদস্যদের মনোযোগী হওয়া জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) কাছ থেকে পরামর্শমূলক মতামত চাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন।

আফ্রিকার স্বল্পোন্নত এবং ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সিডস দেশগুলোর ক্যাডেটদের জন্য বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমিতে বৃত্তি দেওয়ার কথা জানিয়ে সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “সামুদ্রিক খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আন্তঃজাতি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সম্মেলন শেষে ‘দ্য অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা এজেন্ডা ফর সিডস (আবাস)’ প্রতিরোধে সক্ষম উন্নয়নের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হবে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অণুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

সিডস সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি মঙ্গলবার জ্যামাইকা এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদের সঙ্গে ডোমিনিকান রিপাবলিকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্টো আলভারেজ এবং জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথের আলোচনায় বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিল্প, শিক্ষা, বাণিজ্য ও পর্যটনে সহযোগিতা বৃদ্ধি স্থান পায়।

এদিন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি বব রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনায় বব রে রোহিঙ্গা সংকট নিরসন নিয়ে কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানান, নিজ দেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত