নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নাম চেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত সার্চ কমিটি। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে এই নাম জমা দেওয়া যাবে।
রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন বা কেউ ব্যক্তিগতভাবেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রবিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করছে।
রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো আগামী ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য অনধিক পাঁচ জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের নিজ নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।
পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বা gfp_sec@cabinet.gov.bd এই ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে সরকার।
এই কমিটি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে।
সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তার পরদিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই পদত্যাগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ৫ সেপ্টেম্বর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও পদত্যাগ করে।