বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সোমবার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটির আহবায়ক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুলু বিলকিস বানু। বাকি দুই সদস্য- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন কর্মকর্তা এস এম কবিরুল হাসান ও উপ পরিচালক সৈয়দা তাসলিমা আক্তার।
তদন্তের প্রথম দিন মঙ্গলবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা দুই নারী খেলোয়াড়কে শুনানিতে ডেকেছে এই কমিটি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য এস এম কবিরুল হাসান বলেন, “আমরা ভুক্তভোগী মেয়েদের ডেকে ঘটনার বিবরণ ও স্টেটমেন্ট নেব। এরপর পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদকসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও অনেকের ডাকা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা আজই এই ঘটনা তদন্তের জন্য অনুমতি পেয়েছি। মাননীয় মন্ত্রী (নাজমুল হাসান পাপন) পুরো বিষয়টা জানেন। মন্ত্রী মহোদয় বিষয়টির তদন্ত দ্রুত শেষ করতে বলেছেন। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেব। ”
গত ৫ মে ভুক্তভোগী নারীরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে পুরো ঘটনা জানান। এরই প্রেক্ষিতে গঠন করা হয়েছে এই তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ আছে নিউটন জুজুৎসু খেলার অনুশীলনের ফাঁকে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন।
এদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এক পর্যায়ে গর্ভপাতও করানো হয় তার। এসব কাজে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে সুমাইয়া আক্তার নামের জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে।
