চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। শনিবার দুপুরে শুনানি নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এম এ লতিফই চট্টগ্রামের সাবেক এমপি হিসেবে আটক হওয়ার পর প্রথম রিমান্ডে গেলেন।
এর আগে গত ৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি মালুম মসজিদ এলাকায় মসজিদে নামাজ পড়ে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়লে লতিফকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী।
তবে শুক্রবার রাতে তাকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাজার গেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী। লতিফের বাড়ি নগরীর দক্ষিণ খুলশি আবাসিক এলাকায়।
এম এ লতিফ চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা আসনে চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। আর চট্টগ্রাম চেম্বারে এখনও একচেটিয়া আধিপত্য আছে চেম্বারের সাবেক সভাপতি লতিফের।
নগর পুলিশের উপকমিশনার প্রসিকিউশন এ এ এম হুমায়ুন কবির বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শনিবার আদালতে তোলা হয় এম এ লতিফকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডবলমুরিং থানার পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় এরশাদ নামের একজন গুলিতে আহত হন। এ ঘটনায় আহত এরশাদ বাদী হয়ে থানায় এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এজাহারভুক্ত নগর ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া দস্তগীরসহ বাকি আসামিরা বাদী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে রড, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া তারা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
