ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেটের পর হকিতে উঠেছে পরিবর্তনের ডাক। সন্ত্রাসী-আওয়ামী দালাল হটাও হকি বাঁচা- এই ব্যানারে মঙ্গলবার মওলানা ভাসানী জাতীয় স্টেডিয়ামে ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন হকির সাবেক, বর্তমান খেলোয়াড়, সংগঠকরা।
ক্যাসিনোকাণ্ডের নায়ক ও হকির সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদসহ পুরো কমিটির পদত্যাগ দাবি করে দ্রুত যোগ্যদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটির দাবি জানিয়েছেন তারা। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে তারা স্মারক লিপি দেন। বর্তমান কমিটি ভেঙে বঞ্চিত ও যোগ্য, সৎ ব্যক্তিদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়েছেন মানববন্ধন অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা।
সাঈদ বর্তমানে পলাতক। সহ-সভাপতি রশিদ শিকদার যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল এহসান রানাও লাপাত্তা। হকি আপাতত স্থবির। এই অবস্থায় হকিকে বাঁচাতে মানব বন্ধন করেন সাজেদ এ এ আদেল, রফিকুল ইসলাম কামাল, কামরুল ইসলাম কিসমত, মামুন-উর-রশিদ, শহীদুল্লাহ দোলন, মনোয়ার হোসেন, খাজা ইরতেজা কাদের গুড্ডু, জহিরুল ইসলাম মিতুল, তারেক এ আদেলসহ অনেকে।
মানববন্ধনে সাজেদ এ এ আদেল বলেন, “এখানে যারা এসেছেন সবাই হকি খেলোয়াড়। আমাদের প্রাণপ্রিয় খেলা হকি এটা এতদিন ভালোভাবে চলেনি। আমরা ভালোভাবে চালাতে চাই। বর্তমান কমিটির পদত্যাগের পাশাপাশি অ্যাডহক কমিটি চাই।”
২০২৩ সালে সর্বশেষ হকি ফেডারেশনে নির্বাচনে সাঈদের নির্যাতনের শিকার হন সাজেদ এ এ আদেল। ওই সময়কার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ নির্বাচনে আমরা দুইটা ক্লাব কাউন্সিলরশিপ ছিনতাই করা হয়েছিল। আমাকে নমিনেশন পেপার কিনতে দেয়া হয়নি, জমা তো দূরের কথা। মুমিনুল হক সাঈদ সাহেব আমাকে বলেছেন টাকা-পয়সাতে আপনি আমার ওপরে থাকতে পারেন, পেশী শক্তিতে নয়। ন্যায়বিচার চেয়ে আমি আদালতে গিয়েছিলাম। ২০২৩ সালের ২১ জুন আদালত এই কমিটিতে অবৈধ ঘোষণা করেছে।”
কামরুল ইসলাম কিসমত বলেন, “বাংলাদেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। প্রত্যেকটা সংস্থায় পরিবর্তন হচ্ছে। হকিতে আমরা যারা সাবেক খেলোয়াড়, সংগঠক আছি তাদের নিয়ে যাতে সুষ্ঠু, সুন্দর কমিটি গঠিত হয় সেটাই আমার চাওয়া।”