সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মনির হোসেনের ৫ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার নামে থাকা ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের (গালিব) আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন তার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি মো. মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগ দখলে রেখেছেন। তার নিজ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে ওই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি এসব সম্পত্তি অন্য কোথাও বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। তাই এসব সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সামনে আসছে সরকারের বিভিন্ন জনের দুর্নীতির তথ্য। গত ৯ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএস মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।