প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং দিনাজপুর-৫ আসনে আটবারের সংসদ সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারকে ফুলবাড়ির গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
সোমবার বাদ জোহর ফুলবাড়ি উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রুদ্রানী ঈদগাঁহ ময়দানে জানাজা শেষে জামগ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পার্বতীপুর আদর্শ কলেজ মাঠে ও সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ি সরকারি কলেজ মাঠে দুই দফায় মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার রবিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
১৯৫৩ সালের ২৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই রাজনীতিবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি ১৯৭৭ সালে ফুলবাড়ী উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ফিজার। ২০১৩ সাল থেকে তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১৯৮৬ সালে দিনাজপুর-৫ থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনেই বিজয়ী হন ফিজার।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করলে শুরুতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ফিজার। পরে তাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ফিজারকে।
এরপর আরও দুই দফায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মন্ত্রিসভায় ছিলেন না।