গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈদয় সায়েদুল হক সুমন।
সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম।
যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্তোরাঁর সহকারি বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ব্যারিস্টার সুমনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই আবেদন করেছেন।
রাতে গ্রেপ্তারের সময়ই নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন ব্যারিস্টার সুমন। যেখানে তিনি লেখেন, “আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।”
পল্লবী থানার ওসি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “রাত দেড়টার দিকে ব্যারিস্টার সুৃমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানা, আদাবর থানায় মামলা আছে।”
ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার মামলায়। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে মিরপুর থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে পল্লবী থানার ওসি বলেন, “সেখানে সংস্কার চলায় আসামি রাখার মতো জায়গা নেই। এ কারণে সুমনকে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।”
কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সায়েদুল হক সুমন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি, তবে পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন।
জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেইসবুকে আলোচনার জন্য সায়েদুল হক সুমন জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ব্যারিস্টার সুমন হিসেবেই পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি নেওয়া সায়েদুল হক যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে উচ্চতর লেখাপড়া শেষে ব্যারিস্টার অ্যাট ল ডিগ্রি নেন।