নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে ১১ বছর আগের এক হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নোয়াখালীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা একরামুলকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। পরে তাকে ট্রাকশ্রমিক মো. খোকন হত্যা মামলায় ১নং আমলি আদালতে উপস্থাপন করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ইকবাল হোসাইন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় নোয়াখালী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম ও ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে এক দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আদালত থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা কারাগারে নেওয়ার সময় তার সমর্থকদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সদর উপজেলার পশ্চিম সাহাপুর গ্রামের নিহত ট্রাক শ্রমিক মো. খোকনের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে দত্তেরহাটের দত্ত বাড়ির মোড়ে গণজমায়েতে অস্ত্রহাতে হামলা চালায় আসামিরা। খোকন শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের গুলিতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় গত ১ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকা থেকে একরামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে নোয়াখালীর আদালতে উপস্থাপন তোলা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় পরবর্তীতে নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম ও ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।