সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ ওয়াহেদ এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেকসহ চার জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুদকের আলাদা চার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন, সাবেক উপ সচিব মো. দিদারুল আলম চৌধুরী এবং মোতাহের হোসেন চৌধুরী।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এম এ ওয়াহেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপনসূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, এম এ ওয়াহেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (ময়মনসিংহ, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে-পাপুয়া নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
এম এ ওয়াহেদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হতে পারে, সে কারণেই তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক।
সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাহাত মালেক তার বাবার অবৈধ আর্থিক সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। সেগুলো নিজের ভোগদখলে রেখেছেন এবং ৫১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৬৬৩ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯ টাকা লেনদেন করেছেন।
দুদক জানতে পেরেছে, রাহাত মালেক দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু সংস্থাটি মনে করে তার বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ যাওয়া ঠেকানো প্রয়োজন। আর সে কারণেই এই আবেদন।
দিদারুল আলম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় তিনি যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সে কারণেই তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক।
মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলার তদন্তের জন্য তার দেশে থাকা প্রয়োজন। তাই তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।