যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
একই মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানকেও তিন দিন রিমান্ডে নিতে পারবে পুলিশ।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেয়।
এদিন তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। তবে শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে।
গত ৬ অক্টোবর রাতে গুলশান থেকে নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। আর ওই দিন বিকালে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আমিনুল ইসলাম খানকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিন আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম মারা যান। ওই ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নজিবুর রহমান ২০১৫ সালে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০১৮ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব করা হয়।
নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে দায়িত্ব পালন করা কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর শেখ হাসিনার উপদেষ্টাও হয়েছিলেন কামাল আব্দুল নাসের।
কামাল নাসেরকে গ্রেপ্তারের তিনদিন পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে তার পূর্বসূরি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জামালপুর-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
