একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও তিনবারের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটন থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব। এরপর রবিবার তাকে আদালতে হাজির করে ঢাকার আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ফরহাদ হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয় আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহর আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।
এই মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সরকারের মন্ত্রী এবং বিলুপ্ত হওয়া সংসদের সদস্যসহ (এমপি) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নাম।
মেহেরপুর-১ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফরহাদ হোসেন। পরে ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় দফার সরকারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ফরহাদ হোসেন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করার পর ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসনমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।