দুর্নীতি মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনা শাখার সাবেক কর্মচারী পলাতক দেলোয়ার হোসেন সিকদারকে দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় দিয়েছে। তার অবৈধভাবে অর্জিত ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার চাঁদপুরের কচুয়া থানার কাদিরখিল গ্রামের প্রয়াত আব্দুল গফুর আলী সিকদারের ছেলে। তিনি রাজউকের অফিস সহায়ক (এম এল এস এস) ছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করার পর থেকে পলাতক রয়েছেন দেলোয়ার। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের এক ধারায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না দিলে তাকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
তথ্য গোপনের অভিযোগে আরেক ধারায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। না দিলে তাকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দুদকের প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজউকের সাবেক কর্মচারী দেলোয়ার তার নামে ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৭ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং তিন লাখ ৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬০ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৭ টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন দুদকে। সম্পদ বিবরণী যাচাই করে দুদক এক কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ২৪২ টাকার সম্পদ পায়। এসব সম্পদের বিপরীতে তার ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ পায় দুদক।
এসব অভিযোগ এনে ২০১৯ সালের ৭ মে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
২০২৩ সালের ২২ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান।
পরের বছরে ১০ সেপ্টেম্বর দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। ১১ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রবিবার এ রায় দেওয়া হয়েছে।
