বাফুফে নির্বাচনে ছিল মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিল শনিবার। সবার আগ্রহ ছিল সভাপতি পদে নির্বাচনে ঘোষণা দেওয়া তরফদার রুহুল আমিন কোন পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।
সভাপতি পদ থেকে তিনি যে সরে দাঁড়াবেন সেই আভাস আগেই ছিল। তার প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের কর্মকর্তা নাজমুল করিম বাফুফে ভবনে এসে রুহুল আমিন তরফদারের পক্ষ থেকে কেনেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন।
তরফদার রুহুল আমিনকে সভাপতি পদে নির্বাচনের অন্যতম সমর্থক ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। এবার তিনি সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে দুই পদেই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তৃণমূলের সংগঠক শাহাদাত হোসেন জুবায়ের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এফসির কাউন্সিলর সভাপতি ও সদস্য দুই পদেই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তিনি দুই পদে মনোনয়ন জমা দিলেও এক পদ থেকে প্রত্যাহার করতেই হবে।
বাফুফে সভাপতি পদে চারজন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। সাবেক বাফুফে সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল, দিনাজপুরের তৃণমূলের কোচ মিজানুর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান ও এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহাদাত হোসেন জুবায়ের। এই চার প্রার্থীর মধ্যে তাবিথ ও মিজানুর রহমানই শুধু একটি সভাপতি পদে নিয়েছেন। অন্য দুই জন দুই পদের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ মূলত ক্রিকেট সংগঠক। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন। নারী উইংয়ের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় গত বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতিও করেছেন। সেই নির্বাচনে তিনি হেরেছিলেন।
সব মিলিয়ে বাফুফের নির্বাচনের জন্য সভাপতি পদে ৪ জন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ১২ জন ও সদস্য পদে ৪৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদ ১টি, প্রার্থী ৪ জন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ ১টি প্রার্থী ৩ জন। সহ-সভাপতি পদ ৪টি, প্রার্থী ১২ জন। সদস্য পদ ১৫টি, প্রার্থী ৪৩ জন। মোট ২১ পদে ৬২ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।