যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। সে হিসাবে প্রেসিডেন্ট হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণের এখনও বাকি দুই মাসের বেশি সময়।
তবে এখন থেকেই ট্রাম্পের প্রশাসন গোছাতে শুরু করে দিয়েছে তার ট্রানজিশন টিম। ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই শুরু করে দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার প্রচারশিবিরের সহ-ব্যবস্থাপক সুসান সামারাল ওয়াইলসকে তার হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসাবে ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুসানই হবেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে (২০১৭-২০২১) তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদ সামলানো ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই তার এবারের প্রশাসনে থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে তার প্রতি অনুগত মুষ্টিমেয় কিছু কর্মীকে ফেরানো হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এখন নতুন সব মুখ দিয়ে বেষ্টিত এবং তারাই তার মন্ত্রিসভা, হোয়াইট হাউসের কর্মচারী এবং সরকারে মূল ভূমিকা পালন করবেন।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র
সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাগ্নে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের জন্য গত দুই বছর বেশ একটি যাত্রা ছিল। পেশায় পরিবেশবাদী আইনজীবী রবার্ট প্রথমে ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিলেন।
তবে তার পরিবারের বেশিরভাগই তার ভ্যাকসিন-বিরোধী মতামত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন এবং তারা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে জো বাইডেনের পুনঃনির্বাচনকে সমর্থন করেছিলেন।
পরে রবার্ট স্বতন্ত্রভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন, কিন্তু একাধিক বিতর্কের মধ্যে আকর্ষণ অর্জন করতে ব্যর্থ হয়ে দৌড় থেকে বাদ পড়েন এবং পরে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানান।
২০২৪ সালের নির্বাচন চক্রের শেষ দুই মাসে তিনি ‘মেইক আমেরিকা হেলদি এগেইন’ নামে ট্রাম্প প্রচারাভিযানের একটি উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে রবার্ট কেনেডি স্বাস্থ্যখাতে নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর মতো জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, তিনি কেনেডিকে স্বাস্থ্য, খাদ্য এবং ওষুধের বিষয়ে ‘গো ওয়াইল্ড’ তথা তার নিজের ইচ্ছামতো নীতি গ্রহণের ক্ষমতা দেবেন।
রবার্ট কেনেডি সম্প্রতি জোর দিয়ে বলেন, তিনি পানীয় জল থেকে ফ্লুওরাইড অপসারণের জন্য চাপ দেবেন কারণ ‘মানবদেহে এভাবে ফ্লুওরাইড সরবরাহ করাটা খুব খারাপ উপায়’। তবে বিশেষজ্ঞরা তার এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
গত ২০ বছর ধরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার এবং সোশাল মিডিয়ায় ভ্যাকসিনের ভুল তথ্য ছড়ানোর মূল উৎস হিসাবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বেশি পরিচিত।
তবে এনবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কেনেডি বলেন, তিনি ‘টিকা-বিরোধী’ নন এবং ‘কারো ভ্যাকসিন কেড়ে নেবেন না’। তিনি শুধু নাগরিকদের নিজেদের ওষুধ পছন্দ করার জন্য ‘সর্বোত্তম তথ্য’ দেন।
কিন্তু তিনি কোভিড ভ্যাকসিন সম্পর্কে মিথ্যা দাবি এবং ভ্যাকসিন ও অটিজমের সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে চলেছেন। অথচ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা একমত যে, ভ্যাকসিনের সঙ্গে অটিজমের কোনও সম্পর্ক নেই।
ররার্ট কেনেডি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার কোনও পদের পরিবর্তে তিনি হোয়াইট হাউসে একটি বিস্তৃত ভূমিকা পালন করতে পারেন।
দ্য পলিটিকো একটি ভিডিওর বরাতে জানায়, কেনেডি বলেছেন, তাকে হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস এবং এর শাখা-এজেন্সিগুলোর পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি), খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথসহ ফেডারেল জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
সুসি ওয়াইলস
কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিশাল বিজয়ের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তার প্রচারণা শিবিরের সহ-সভাপতি ক্রিস লাসিভিটা ও সুসি ওয়াইলস, যাকে ট্রাম্প বুধবার তার বিজয় ভাষণে ‘আইস বেবি’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।
এরপর থেকে তিনি দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের চিফ অব স্টাফ হিসাবে নিশ্চিত হয়েছেন, যা দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রথম নিশ্চিত নিয়োগ। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ পদে তিনিই হতে চলেছেন প্রথম নারী।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী ওয়াইলস ‘পর্দার আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন’ এবং তাকে দেশের সবচেয়ে দক্ষ এবং সম্মানিত রাজনৈতিক প্রচার কর্মীদের একজন বলে মনে করা হয়।
রাজনীতিতে কাজ শুরু করার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সুসি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ১৯৮০ সালের সফল নির্বাচনী প্রচারে কাজ করেছিলেন এবং পরে হোয়াইট হাউসে তার একজন শিডিউলার হয়েছিলেন।
২০১০ সালে সুসি ব্যবসায়ী রিক স্কটকে— যার সামান্যই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল— মাত্র সাত মাসের মধ্যে ফ্লোরিডার গভর্নর বানিয়েছিলেন। স্কট এখন একজন সিনেটর।
সুসি ওয়াইলস ২০১৫ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রাইমারির সময় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার ফ্লোরিডা প্রচার কার্যক্রমের সহ-সভাপতি হন, যেটি সেই সময়ে একটি সুইং স্টেট হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। সুসির সহায়তায় ট্রাম্প সেখানে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেন।
সম্মান অর্জন এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বড় অহমকে পরীক্ষায় ফেলার সক্ষমতার জন্য রিপাবলিকানরা সুসি ওয়াইলসকে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত করেছেন। ফলে তিনি তার আগের চার প্রধান চিফ অব স্টাফের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর হবেন।
ইলন মাস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এই বছরের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেন, যদিও ২০২২ সালে তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের এবার অবসরে যাওয়ার সময় হয়েছে।
কিন্তু এবার তিনি ট্রাম্পের সবচেয়ে দৃশ্যমান এবং সুপরিচিত সমর্থকদের একজন হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। এমনকি ট্রাম্পের পক্ষে কোমর বেঁধে প্রচারেও নামেন।
২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করার পর থেকে মাস্ক অবৈধ অভিবাসন এবং ট্রান্সজেন্ডার অধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্রমবর্ধমানভাবে সোচ্চার হতে থাকেন।
সেসময়ে মাস্ক একের পর এক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়ে পড়েন এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তকরণের পক্ষে অসংখ্য গণ বিবৃতি দেন এবং ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একটি পূর্ণ-মাত্রার অডিটের আহ্বান জানান।
তার এই ধারণা ট্রাম্পও লুফে নেন। সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে মাস্কের নেতৃত্বে একটি সরকারি এফিশিয়েন্সি কমিশন বা দক্ষতা কমিশন চালু করবেন। যার লক্ষ্য হবে ফেডারেল এজেন্সিগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও খরচ কমানো।
মাস্ক এটিকে সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধি বিভাগ বলতে চান, যার মাধ্যমে তিনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের খরচ কমাবেন, প্রবিধান সংস্কার করবেন এবং লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমিয়ে ফেডারেল আমলাতন্ত্রকে আরও গতিশীল করবেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্কের উদ্দেশ্য মূলত তার নিজের কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারি নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ কমানো।
এমনকি মাস্কের লড়াই শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ নয়। কখনও কখনও ভিন দেশের সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তার লড়াই তাকে বিশ্বের অন্য বিলিয়নেয়ারদের বিরুদ্ধেও দাঁড় করিয়ে দেয়।
উদাহরণ হিসাবে ভারতের কথা বলা যায়, যেখানে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড বিতরণ নিয়ে নয়া দিল্লি সরকারের সঙ্গে লড়াই করে মাস্ক মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধে বিজয়ী হন। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি তার নিজের টেলিকমিউনিকেশন সাম্রাজ্যের জন্য আরও অনুকূল শর্ত চেয়েছিলেন। কিন্তু মাস্ক তাতে বাগড়া দেন।
সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে তার লড়াই নিয়মিতই তাকে যে দেশেই কাজ করতে যান সে দেশের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়। ব্রাজিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছেন মাস্ক।
মাইক পম্পেও
কানসাসের সাবেক কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পররাষ্ট্র নীতির ‘বাজপাখি’ হিসাবে খ্যাত এবং ইসরায়েলের উগ্র সমর্থক পম্পেও তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দৃশ্যমান ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তিনি আব্রাহাম চুক্তি বাস্তবায়নের মূল খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন, যা ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল।
ট্রাম্প তাকে এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
রিচার্ড গ্রেনেল
রিচার্ড গ্রেনেল জার্মানিতে ট্রাম্পের রাষ্ট্রদূত, বলকানে বিশেষ দূত এবং তার জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
দোদুল্যমান রাজ্য নেভাদাতে ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়কে উল্টে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টায়ও ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।
ট্রাম্প গ্রেনেলের আনুগত্যের প্রশংসা করেছেন এবং তাকে ‘আমার দূত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সেপ্টেম্বরে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বৈঠকেও বসেছিলেন।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কার্যভার গ্রহণের ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করবেন। গ্রেনেল সেই লক্ষ্যের উপায় হিসাবে পূর্ব ইউক্রেনে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল স্থাপনের পক্ষে কথা বলেছেন। যদিও ইউক্রেন তা গ্রহণ করেনি।
গ্রেনেলকে ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ দিতে পারেন, যার জন্য সেনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।
ক্যারোলিন লেভিট
ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের জাতীয় প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন এর আগে তার হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসে সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২৭ বছর বয়সী এই জেন জি তরুণী তার নিজ রাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে ২০২২ সালে কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি হওয়ার জন্য লড়েছিলেন, যদিও তিনি ব্যর্থ হন।
ট্রাম্প তাকে এবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বানাতে পারেন।
টম হোমন
টম হোম্যান প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ইউএস ইমিগ্রেশনস অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। সেসময় তিনি অবৈধ সীমান্ত ক্রসিং রোধের উপায় হিসাবে অভিবাসী শিশুদের তাদের বাবা-মার কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়ার প্রবক্তা ছিলেন।
যেসব রাজনীতিবিদ অভিবাসীদের পক্ষে কথা বলে তাদের অপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত করা উচিৎ বলে মন্তব্য করে তিনি বেশ সমালোচিতও হয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এরপর থেকে তিনি ট্রাম্পের অভিবাসীদের গণহারে নির্বাসনে পাঠানোর পরিকল্পনার বিকাশে মূল ব্যক্তিত্ব হিসাবে আবির্ভূত হন।
ট্রাম্প তাকে এবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি