Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণ : ৪ জনকে শনাক্ত করেছে কিশোরী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর বাবা।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৮ জনের মধ্যে ৪ জন ঘটনায় জড়িত বলে শনাক্ত করেছে ভুক্তভোগী কিশোরী। দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি দুই আসামীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া আটক ৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে ওসি বলেন, গত সোমবার ৩ জন ও মঙ্গলবার ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে ভুক্তভোগী কিশোরী শনাক্ত করে। তাদের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে একই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোহাম্মদ কাজল (২৩), মো. বশির (৩৮), মো. শাহজাহান (২৭), তাজুল ইসলাম (১৮), সজীব (২৫), ছোটন (২৫), অমিত হাসান (২৫)। বাকি একজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ভূক্তভোগী কিশোরী (১৫) মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তবে ওই কিশোরী কোন ৪ জনকে শনাক্ত করেছে সে সম্পর্কে এখনই কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি ওসি। 

মনজুর কাদের জানান, “ভুক্তভোগী কিশোরী কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাড়িতে ফিরেছেন।”

গত রবিবার রাতে ওই কিশোরী চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশনে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে মহেশখালীর গ্রামের বাড়ি ফিরতে বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এসময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তুলে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে যায়। সেখানে ৮ জন যুবক মিলে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত