Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

বাবার সামনে ‘পুষ্পা’ নিতিশ

ফিফটির পর নীতীশের ‘পুষ্পা’ উদযাপন। এরপর করেন সেঞ্চুরিও। ছেলের কীর্তিতে গ্যালারিতে কান্না চেপে রাখতে পারেননি তার বাবা। : ছবি : এক্স
ফিফটির পর নীতীশের ‘পুষ্পা’ উদযাপন। এরপর করেন সেঞ্চুরিও। ছেলের কীর্তিতে গ্যালারিতে কান্না চেপে রাখতে পারেননি তার বাবা। : ছবি : এক্স
[publishpress_authors_box]

ছেলের খেলা দেখতে মেলবোর্ন এসেছেন মুত্যালা রেড্ডি। নিতিশ কুমার রেড্ডি যখন ক্রিজে নামেন তখন বিপদে ভারত। ২২১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ছিল ফলোঅনের শঙ্কায়। অষ্টম উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ১২৭ রানের জুটিতে ফলোঅন এড়ানোয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন নিতিশ।

এই জুটির পথে টেস্টে করেন প্রথম ফিফটি। আর উদযাপনটা ছিল দেখার মতো। বাবার সামনে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘পুষ্পা-২’-এর আল্লু অর্জুনের স্টাইলে করলেন উদযাপন।

‘পুষ্পা’ সিনেমায় অল্লু অর্জুনকে দেখা গিয়েছিল থুঁতনির নীচ দিয়ে হাত নিয়ে গিয়ে বলতে “পুষ্পা, ঝুঁকেগা নেহি।” সেটাই করলেন ব্যাট দিয়ে। ফিফটিতেই থামেননি নিতিশ। এরপর করেছেন সেঞ্চুরিও। তার অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংসে ভর করে ভারতের স্কোর ১১৬ ওভার শেষে ৩৫৮। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। দিনের খেলারও সমাপ্তি সেখানে।

ফিফটির মতো সেঞ্চুরির উদযাপনাটাও বিশেষ ছিল নিতিশের। ব্যাটের হাতলে হেলমেট রেখে আকাশে মুখ তুলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ছেলের এমন ব্যাটিং আর বিপদের মুখে প্রতিরোধ দেখে গ্যালারিতে উত্তেজনায় দাঁড়িয়ে মুত্যলা রেড্ডি কখনো কাঁদছিলেন, কখনো আকাশে তাকিয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করছিলেন, আবার কখনো চিৎকার করছিলেন।

একজন বাবার এই আবেগ ছুঁয়ে গেছে মেলবোর্নের দর্শকদেরও। ভারতীয় দর্শকদের মধ্যমণি হয়েই ছিলেন সাদা শার্টের ওপর কালো কোট পরা নিতিশের বাবা।

গ্যালারিতে ছেলের সেঞ্চুরির প্রতিক্রিয়া আনতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মুত্যালাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেমন লাগছে। তার জবাব,‘‘স্পেশাল ডে’।

ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চাকরি ছেড়েছিলেন বিশাপত্তনমের মুত্যালা রেড্ডি। কোচেরা নিতিশের খেলায় দুর্বলতা দেখে ‘না’ করে দেওয়ার পরও হাল ছাড়েননি তিনি। নিতিশকে ৩০ কিলোমিটার দূরের মাঠে নিয়ে অনুশীলন করিয়েছেন নিয়মিত। টাকার অভাবে ছেলের খেলা ছাড়ার অবস্থা হওয়ায় কেঁদেছেন বহুবার। সেই কান্না আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করেছে নিতিশকে।

ঋষব পন্ত ২৮, রবীন্দ্র জাদেজা ১৭ আর ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হন ৫০ রানে। সমান ৩টি করে উইকেট প্যাট কামিন্স ও স্কট বোলান্ডের। পন্তের জন্য ডিপ ফাইন লেগ এবং ডিপ থার্ড ম্যানে ফিল্ডার রেখেছিলেন কামিন্স।

স্কট বোলান্ডের রাউন্ড দ্য উইকেট বলে পুল করতে গিয়ে সেই ডিপ থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন পন্ত। এটা দেখে মেজাজ হারিয়ে ধারাভাষ্য কক্ষে ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলে উঠেন, ‘‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’’।

পন্তের আউটের পর ক্ষোভ ঝেড়েছেন গাভাস্কার।

এরপর গাভাস্কার বলছিলেন, “চূড়ান্ত বোকামি। দেখছ, দুজন ফিল্ডার আছে, তাতেও ওই শট মারছ! আগের শটটা মিস করে আবারও একই কাণ্ড। ভারত এখন যে পরিস্থিতিতে আছে, তাতে এটা একদমই চলে না। দলকে চাপে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না। ভারতীয় ড্রেসিংরুম নয়, এই ঘটনার পর ওর অন্য ড্রেসিংরুমে যাওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত