পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। আগের সিরিজের ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিতভাবেই অনুপ্রাণিত করছে বাংলাদেশ দলকে। সুনীল গাভাস্কারও বুঝতে পারছেন এই মুহূর্তে বাংলাদেশ কতটা বিপজ্জনক দল। সেকারণেই রোহিত শর্মাদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি।
ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী অবশ্য জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ইতিহাস গড়ে এলেও ভারতের সঙ্গে হেরে যাবে বাংলাদেশ। প্রায় একইরকম কথা বলেছেন আরেক সাবেক দিনেশ কার্তিক। তবে গাভাস্কারের মত ভিন্ন। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে নতুনভাবে জ্বলে ওঠা শান্তরা যেকোনও দলকে হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে বেশ কিছু সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। যার মধ্যে ওপরের দিকে থাকবে ২০০৭ বিশ্বকাপ ও ২০১২ সালের এশিয়া কাপের জয়। ২০১৫ ও ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ জয়ের আনন্দও আছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। যদিও টেস্টে এখনও জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি।
বছর দুয়েক আগে লাল বলের ক্রিকেটেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বীরত্বে জয় পায় ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের সঙ্গে ওই ম্যাচের স্মৃতি টেনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম মিড-ডে’তে লেখা কলামে রোহিতদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন গাভাস্কার।
ভারতীয় কিংবদন্তি লিখেছেন, “পাকিস্তানের মাটিতে খেলা দুটি টেস্ট ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল দেখিয়েছে তারা গোনায় ধরার মতো শক্তি। এমনকি দুই বছর আগে যখন বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ভারত, তখন বাংলাদেশিদের দুর্দান্ত লড়াইয়ের সামনে পড়েছিল তারা (ভারত)। এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের প্রেরণা ভারতকে হারিয়ে দিতে উজ্জীবিত করবে তাদের।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে দলীয় পারফরম্যান্সে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সবাই কমবেশি অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে, তরুণ ক্রিকেটাররা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন।
গাভাস্কার তার কলামের পরের অংশে লিখেছেন, “তাদের দলে দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। নতুন কয়েকজন সম্ভাবনাময়ী খেলোয়াড় রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগের মতো প্রতিপক্ষকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে না। ফলে এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে যে দলই খেলুক না কেন, তাদের নির্ভার থাকার সুযোগ নেই। কারণ তারাও ছিটকে যেতে পারে, যেভাবে পাকিস্তানিরা গিয়েছে। নিশ্চিতভাবে দেখার মতো এক সিরিজ হতে যাচ্ছে এটি।”