Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ঢাবি ভিসি চত্বরে গায়েবানা জানাজা

গায়েবানা জানাজা
[publishpress_authors_box]

সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৬ জনের গায়েবানা জানাজা করেছে শিক্ষার্থীরা।  

বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাকসুদ কামালের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে রাখা ৬টি কফিন মোড়া ছিল সাদা কাপড়ে, তার ওপর ছিল বাংলাদেশের পতাকা।

অ্যাম্বুলেন্সে করে খালি কফিনগুলো আনা হয়।

সংঘাত দেশজুড়ে, নিহত ৬

গায়েবানা জানাজা শুরুর আগে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম বলেন, “শহীদদের গায়েবানা জানাজা করা হচ্ছে। ৬ জনের বিষয়টা জানতে পেরেছি। আজকে তাদের জানাজা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

এর আগে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে গায়েবানা জানাজা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আন্দোলনকারীরা।

সে সময় ফুলার রোড দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে আসে। মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকে ‘হল আমাদের বাড়িঘর, আমরা হল ছাড়াব না’। আন্দোলনকারীদের মাথায় বাঁধা ছিল বাংলাদেশের পতাকা, আর হাতে ছিল লাঠি কিংবা বাঁশ।

এদিন সকাল থেকেই শাহবাগে নিরাপত্তা জোড়দার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  

সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের দিকে আসতে থাকলে গুরুদয়া নানকশাহী হয়ে রোকেয়া হলের সামনে আসার আগেই মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।  

পরে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক সারজিস আলম এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “তারা ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন দিয়ে আমাদের ভাইবোনদের আঘাত করেছে। আজকে কেন তারা এটা করছে? আমরা তো মিছিল নিয়ে চলেই গিয়েছিলাম। কেন আমাদের হামলা করল?”  

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা বলেন কী এমন করেছি? আমাদের টিয়ার শেল, গুলি, গ্রেনেড মারা হলো; এগুলোর কারণ কী?

“আমরা ছাড়ব না হল।”

এ সময় আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের এখন মাইরা ফেললে মাইরা ফেলবে। ডিসকাশনের জন্য সবসময় প্রস্তাব দিয়েছি। এখন আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

এদিন বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে কয়েকজন সাংবাদিকদের মধ্যস্থতায় পুলিশ নীলক্ষেত এলাকা ছেড়ে দেয়। এ সময় বিজয় একাত্তর হল, জসীমউদ্দীন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে দেখা যায়।

আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর কোটাবিরোধী বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। তাতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং বহু আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকায় নিহত হয়েছে দুজন। চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন নিহত হয়েছে। এ মাসের শুরুতে আন্দোলন শুরুর পর নিহতের ঘটনা এটাই প্রথম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত