গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মিছিলে ২৪ ঘণ্টায় যোগ হলেন ১৭৮ জন; তাতে নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ চলার মধ্যে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার নিহতের এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ফের তেল আবিব প্রশাসনকে যুদ্ধ বন্ধ এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে হাঁটার আহ্বান জানায়। কিন্তু সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আর এনিয়ে মতবিরোধ চলছে ওয়াশিংটন ডিসি ও তেল আবিবের সঙ্গে। হোয়াইট হাউস বলছে, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান প্রশ্নে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের মতের পার্থক্য রয়েছে।
নেতানিয়াহুর কট্টর অবস্থানকে ‘হতাশাজনক’ বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপসও।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার যুদ্ধ বন্ধ না করতে ইসরায়েলের যুক্তি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তার শঙ্কা, গাজার যুদ্ধ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তবে নেতানিয়াহু তার অবস্থানে অনড়। তিনি হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করে কোনো সমাধানের রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের হাতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে সংগঠনটি এখনও আগের মতোই শক্তিশালী রয়ে গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হয় এই যুদ্ধ। ওই হামলায় হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জনকে হত্যা এবং ২৪০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে।
এর বিপরীতে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় বিমান ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বাড়ি-ঘর থেকে শুরু করে হাসপাতাল, মসজিদ কোনও কিছুই ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
বিমান ও স্থল অভিযানের লক্ষ্য এখন দক্ষিণ গাজা। ইসরায়েল মনে করে, হামাসের শীর্ষ কমান্ডাররা খান ইউনিস শহরে বা সেখানে মাটির নিচে লুকিয়ে আছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা আরও একটি টানেল খুঁজে পেয়েছে। এটি প্রায় ৮৩০ মিটার (২,৭০০ ফুট) লম্বা। এতে ফাঁদ ও বিস্ফোরক পেতে রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলি সৈন্যরাও নতুন করে আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। বিবিসি জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরের জাবালিয়া শহরে একটি খোলা জায়গা দখল করেছে হামাস। এ কারণে ইসরায়েলকে তাদের সৈন্য ও ট্যাঙ্ক দক্ষিণে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
