ফিলিস্তিনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই সমঝোতা হয়।
সমঝোতায় কী আছে
সমঝোতার আওতায় হামাস তাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবে। এর বদলে ইসরায়েল গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেবে।
কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া সমঝোতার আওতায় মানবিক সহায়তাবাহী ট্রাকগুলো বুধবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা করবে। সহায়তাবাহী ট্রাকগুলো সেখান থেকে গাজায় যাবে।
হামাসের হাতে বন্দি কত ইসরায়েলি
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ইসরায়েল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিল। ওইদিন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে তুলে নিয়ে যায়।
গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে শতাধিক বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। গাজায় হামাসের যোদ্ধাদের হাতে এখনও ১৩২ জনের বেশি ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে বলে মনে করা হয়।
গাজার পরিস্থিতি
হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এই ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেখানে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থার প্রধান ইতোমধ্যে গাজার পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।