বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে চলতি সপ্তাহে গেজেট জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গেজেট হলে জ্বালানি তেলের দাম আরও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর তৃতীয় দিনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একটা ফর্মুলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এরইমধ্যে আমরা অনুমোদন পেয়েছি। সেটা আমরা এ সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ করব।”
তেলের দাম বাংলাদেশে কমলে সীমান্ত দিয়ে পাচারের শঙ্কা থাকে উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০৯ টাকা। কলকাতায় সেটা ১৩৩ টাকা। কাজেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। এখানে যদি আরেকটু সাশ্রয়ী হয়, তাহলে আরও বেশি তেল পাচারের শঙ্কা থাকে। বিষয়টি নজরদারির মধ্যে থাকবে।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের বিরাট একটা ভূমিকা বিষয়ে সেশনে আলোকপাত করা হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “সামনে যে সময়টা আসছে, মার্চসহ গরমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। পরিবেশ নিয়েও কথা হয়েছে। সেচসহ সবকিছুতে সৌর বিদ্যুতের আওতা কীভাবে বাড়াতে পারি, তা নিয়ে কথা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “জ্বালানি কীভাবে সাশ্রয়ী রাখতে পারি, তা নিয়ে কথা হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। মার্চের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে তেলের কথা যদি বলি, বিশেষ করে জ্বালানির দাম, ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাবে। আমরা আশা করছি, জ্বালানির ক্ষেত্রে একটা সাশ্রয়মূল্যে আমরা অ্যাডজাস্টমেন্টে (সমন্বয়) যেতে পারব।”
সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়— এমন প্রশ্নে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়েও কথা হয়েছে। ডিলারদের হাত থেকে কোনোমতে সাব-এজেন্টদের হাতে ঘুরে না যায়। সে বিষয়টি ডিসিরা যাতে নজরদারি করেন। রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতে সিলিন্ডারের যত্রতত্র ব্যবহার করা না হয়, তাও নজরদারি করতে বলা হয়েছে।”
জেলা প্রশাসকরা কী প্রস্তাব দিয়েছেন তা জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, “অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা কী ব্যবস্থা নিতে পারি, তাদের বিষয়ে আরও কঠিন হওয়ায় যায় কি না; তা নিয়ে কথা হয়েছে।
“এছাড়া পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ না দিতে তাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। কৃষিজমি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন জায়গা ভরাট করে শিল্প করা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনা ছিল।”