দুই বছর পর ফিরে টেস্ট সিরিজের সেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানও ফিরেছিলেন এক বছর পর। বল হাতে চট্টগ্রামে দুই ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে পাননি ফিফটি।
ছন্দ হারালেও অভিজ্ঞতার কথা ভেবে টেস্টে ফেরানো হয়েছিল লিটন দাসকে। সিলেটের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থ তিনি। তুলনায় মুমিনুল হকের চারটি ইনিংস মন্দের ভালো। এই সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫, ৮৭*, ৩৩ ও ৫০। তবে তিনিও উইকেটে সেট হয়ে মাঠেই ফেলে এসেছেন সেঞ্চুরি।
তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন ব্যর্থতা পোড়াচ্ছে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। আজ (শুক্রবার) মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, ‘‘আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের ইনিংসটাই বড় হতে পারত। আমাদের একটা আক্ষেপ যে মুমিনুল একটা অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। সাকিবও নিজেকে সুসংহত করতে পেরেছিলেন। লিটন দাসও যে জায়গায় চলে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ইনিংসটা বড় করা বা তিন অঙ্কে পৌঁছে যাওয়াটা অসম্ভব কিছু ছিল না।’’
ফর্ম হারানোর পরও লিটন দাসকে টেস্টে ফেরানোর হল কেন? এর উত্তরেও লিপু জানালেন অভিজ্ঞতার কথা, ‘‘আমাদের কিছুটা আস্থা ছিল সে তার অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা চাচ্ছিলাম যে কিছু অভিজ্ঞতা থাকুক। সাকিব ফিরে এসেছে, মুশফিক যেহেতু নেই অভিজ্ঞতার যে দরকার আছে সেটা দেখতে পাচ্ছেন। অভিজ্ঞরা যদি অভিজ্ঞতার আলোকে ক্রিকেট খেলতে না পারে তাহলে দল বেশিদূর এগোতে পারে না।’’
টেস্টে ফেরাতে লিটনের রেকর্ডও ভাবনায় ছিল লিপুর, ‘‘আমাদের হাতে যদি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকত, প্রথম জিনিস হচ্ছে তার বিকল্প হিসেবে কাউকে নিতে পারেন কিনা। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে খেলোয়াড়ের এতো ভালো রেকর্ড, রেকর্ড আমাদেরকেও দেখতে হয়। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’’
টেস্টের আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকার আক্ষেপও ঝড়ল লিপুর কণ্ঠে, ‘‘প্রথম বলেই অনেকে চালিয়ে দিয়েছেন, এটা টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং ছিল না। টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হতো। সামনে যে তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজ আছে, ওখানে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রস্তুতি ম্যাচের স্লট আছে।’’
স্পোর্টিং উইকেটে খেলানো হয়েছে এই টেস্ট সিরিজ। এর কারণ নিয়ে লিপু জানালেন, ‘‘আগেই বলেছি যে, যথেষ্ট স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করেছি।
কারণ আমাদের দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশে গিয়েও খেলতে হবে। সেটার জন্য নিজেদের সক্ষমতা, দুর্বলতা বিচার করার জন্য বিসিবি এই ধরণের ভেন্যু, উইকেটের ব্যবস্থা করেছে। এতে হয়ত আমরা কিছুটা আশাহত কিন্তু আমাদের দুর্বলতার জায়গাগুলো ফুটে উঠেছে।’’