গাজীপুরে সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ হারানো শিশুটির নাম তাওহীদ (৭)। সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম।
এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হলো। তরিকুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ আরেক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শিশুটির নাম তাওহীদ। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।”
এর আগে সোমবার সকালে ওই আগুনে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু হয়। রোববার রাতে মারা যান দুইজন। তার আগে, গত ১৫ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইবা (৩), আরিফুল ইসলাম (৩৫), মহিদুল (২৪), নার্গিস খাতুন (২২), মনসুর আলী ও সোলাইমান মোল্লা মারা যান।
গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় সিলিন্ডারের ছিদ্র দিয়ে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে ৩৬ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এখনও সেখানে ভর্তি আছেন ২৫ জন।
দুর্ঘটনার পরদিন ১৪ই মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধ সবার অবস্থাই খারাপ। দগ্ধদের মধ্যে ১৬ জনের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়েছে। ১০ জনের বেশি জনের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।