রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে কয়েকটি রদবদল হয়েছে, চাকরি হারিয়েছেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সোমবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে পরিবর্তিত পরিস্থিতির খবর দিয়েছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাতে তিন বাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানান।
তার পরদিনই সেনাবাহিনীর উচ্চ পদে পরিবর্তন আনার খবর জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী হয়েছেন সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ডেন্ট এনডিসি করা হয়েছে।
মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়া। ২০২২ সালে এই পদে আসার আগে পাঁচ বছর তিনি এই বিভাগে পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৯১ সালে সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়া তার আগে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক পদেও কাজ করেছিলেন।
র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়া হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম। গুম-খুনের জন্য তাকেই দায়ী করা হয়ে থাকে।