জার্মানি ২ : ০ হাঙ্গেরি
স্কটল্যান্ডকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে শুরু জার্মানির। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও ফেবারিটের মত হাঙ্গেরিকে হারাল ২-০ গোলে। ম্যাচ জুড়ে চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলা জামাল মুসিয়ালা ও ইলকাই গুন্দোয়ান করেছেন ১টি করে গোল। তাতে ৬ পয়েন্ট আর +৬ গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় সবার আগে নকআউটেও জায়গা করে নিল স্বাগতিকরা।
২০ সেকেন্ডেই ম্যানুয়াল নয়্যারের দৃঢ়তায় অল্পের জন্য বেঁচে যায় জার্মানি। ১১ মিনিটে কাই হাভার্টজ গোলরক্ষককে একা পেয়েও পারেননি বল জালে জড়াতে। স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় ২২ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে। নজরকাড়া ফুটবলে মুসিয়ালা বল বাড়িয়েছিলেন অধিনায়ক ইলকাই গুন্দোয়ানকে। এরপর জার্মান অধিনায়কের সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে পড়েন হাঙ্গেরির ডিফেন্ডার উইলি ওরবান।
ফাউলের জন্য রেফারির বাঁশির অপেক্ষায় ছিল হাঙ্গেরির ফুটবলাররা। রেফারি ফাউল দেননি। গুন্দোয়ানের পাসে মুসিয়ালা এগিয়ে দেন জার্মানদের। ভিএআরেও নিশ্চিত করে গোলের আগে ফাউলের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাতে সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোর গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে দেশের হয়ে দুই গোল করার রেকর্ড গড়েন মুসিয়ালা।
এই গোলের পাশাপাশি বিরতির আগে জামাল মুসিয়ালা ছিলেন জার্মানির আক্রমণের প্রাণ হয়ে। তার পায়ে বল গেলেই উন্মাদনা বাড়ছিল গ্যালারিতে। এমনকি উচ্ছ্বসিত হচ্ছিলেন কোচ ইউলিয়ান নাগালসমানও।
বিরতির ঠিক আগে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারলে গোল বাতিল হয় হাঙ্গেরির। উইল ওরবানের শট গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার ডাইভ দিয়ে ঠেকালেও ফিরতি বল জালে জড়ান রোলান্দ সালাই। তবে দুজনই ছিলেন অফসাইডে, যা নিশ্চিত করে ভিএআরও। এবারের ইউরোয় ভিএআর সিদ্ধান্ত দিচ্ছে বেশ দ্রুত, যা বাড়তি পাওনা দর্শকদের।
জার্মান দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রক্ষণ ভাগের অনেক উপরে উঠে থাকায় সুযোগ তৈরি করেছিল হাঙ্গেরিও। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। মাত্র ২৮ শতাংশ বলের দখল রেখেও বিরতির আগে পোস্টে ৭টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রেখেছিল হাঙ্গেরি। এ সময় জার্মানিরও লক্ষ্যে শট ছিল ৩টিই!
৬০ মিনিটে অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় হাঙ্গেরি। আসলে ফিনিশিং দূর্বলতাতেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েছে তাদের।
৬৭ মিনিটে অসাধারণ দলীয় আক্রমণ থেকে গুন্দোয়ানের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জার্মানি। ম্যাক্সিমিলিয়ানের পাস থেকে করা গোলটাই ব্যবধান গড়ে দেয় ম্যাচের।