দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডায়াবেটিসের হার খুব দ্রুত বাড়ছে। ধারণা করা হয় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম সর্বোচ্চ ডায়াবেটিস আক্রান্তের দেশ হতে যাচ্ছে। অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবিদার, কারণ এই রোগ থেকেই পরবর্তীকালে হৃদরোগ, কিডনির অকার্যকারিতা, স্ট্রোক, অন্ধত্ব বা স্নায়ুজনিত জটিলতার মতো নানা ভয়াবহ ব্যাধির সূচনা হয়। তাছাড়া ডায়াবেটিস মানে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, বার বার সংক্রমণ। যক্ষা, কোভিড, নিউমোনিয়া, প্রস্রাবে সংক্রমণসহ নানা ইনফেকশন ডায়াবেটিসের রোগীদেরই কাবু করে বেশি। মানে একা এই রোগটিই আরও দশটা রোগ ডেকে আনে এবং স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটায়। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা মানে আরও অনেকগুলো অসংক্রামক ব্যাধিকে জয় করা। সেজন্য ডায়াবেটিসের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের দিকে গুরুত্ব আরোপ করা দরকার বেশি। দুনিয়া এখন সেদিকেই নজর দিচ্ছে।
কিন্তু, এই ডামাডোলে নারীদের একটি বিশেষ ধরনের ডায়াবেটিসের প্রসঙ্গ প্রায়ই চাপা পড়ে যায়। ‘জেসটেশনাল ডায়াবেটিস’ বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কেবল নারীদেরই হয়ে থাকে। এটি অন্যান্য ডায়াবেটিসের চেয়ে আলাদা, এর সনাক্তকরণ পদ্ধতি বা চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। তাই এ নিয়ে আমাদের আলাদা করে সক্রিয় হতে হবে। সাধারণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা ব্যবস্থাপনার সাথে একে মিশিয়ে ফেললে চলবে না।
বাংলাদেশের উদ্বেগ যে কারণে
উদ্বেগের ব্যাপার, বাংলাদেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হার বিশ্বের অন্যান্য দেশ এমনকি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলির চেয়েও বেশি। দেশব্যাপী গবেষণা বা তথ্য উপাত্ত না থাকলেও আঞ্চলিক ভিত্তিতে কিছু গবেষণায় আমাদের দেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হার ১৪ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এর বাইরে বড় সংখ্যক নারীর গর্ভকালে এই পরীক্ষাই করা হয় না এবং তা সনাক্তও হয় না। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, আমাদের গর্ভবতী নারীদের এক তৃতীয়াংশই এমন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।
এটি একটি ভয়াবহ পরিসংখ্যান। কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার গর্ভজাত সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুকিঁ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, প্রি-একলাম্পসিয়া, একলাম্পসিয়া, গর্ভের পানি কমে বা বেড়ে যাওয়া সহ নানা জটিলতা হতে পারে এ থেকে। আর গর্ভজাত সন্তানের আকস্মিক মৃত্যু, অস্বাভাবিক ওজন (ম্যাক্রোসোমিয়া), জন্মের পর শর্করা কমে যাওয়া, খিঁচুনি সহ হতে পারে নানা সমস্যা। একই সাথে এতে পরিবারটির সন্তান প্রসবজনিত ব্যয়ও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে নারীটিকে ইনসুলিন নিতে হয়, নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করতে হয়, বার বার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, আর বড় হাসপাতালে প্রসবের ব্যবস্থা করতে হয় যেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে।
মনে পড়ে, আমি যখন বারডেম হাসপাতালে কাজ করতাম তখন এমনই এক সদ্য বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা তরুণী কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল যে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তার স্বামী তাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বলেছে যে এত ব্যয় সে বহন করতে পারবে না— “আপনাদের মেয়ের চিকিৎসা আপনারাই করেন, ওর ডায়াবেটিসের দায়ভার আমি কেন নেব?” সব মিলিয়ে একজন নারী যখন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন তখন আসলে তিনি একটা বিরাট বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন। এই বিপর্যয় যে কেবল ওই কয়েক মাসের জন্য তা নয়, এর জের তাকে বয়ে বেড়াতে হয় আজীবন।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে যা হয়
বলা হয়, ৭০ শতাংশ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সন্তান প্রসবের পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি প্রি-ডায়াবেটিস (বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস) হিসেবে রয়ে যেতে পারে। কিছু সংখ্যকের এই ডায়াবেটিস কখনোই পুরোপুরি সেরে যায় না এবং সন্তান প্রসবের পরও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। আর যারা সেরে ওঠেন তাদেরও ৩-৬ বছরের মধ্যে পুরোপুরি ডায়াবেটিস হবার ঝুকিঁ ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি। এখন যে মেয়েটি ২৪ বছর বয়সে মা হয়েছে এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে তার তিরিশ পেরানোর আগেই ডায়াবেটিস হয়ে যাবার ঝুকিঁ রয়েছে। আর এভাবেই তরুণ, কর্মক্ষম এক জনগোষ্ঠী পরিণত হচ্ছে ডায়াবেটিসের মতো এক জটিল ব্যাধির শিকারে। শুধু তাই নয়, যে মেয়েরা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, তাদের ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের ঝুকিঁও বেশি। আর এভাবেই সন্তান ধারণ করতে গিয়ে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মেয়েরা এক বিশাল স্বাস্থ্য ঝুকিতেঁ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কি এটা ঠেকাতে পারি না কোনওভাবে? উত্তর হলো, হ্যাঁ, কিছুটা হলেও পারি।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে যেভাবে
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হবার পেছনে কিছু ঝুকিঁ বা রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। এগুলিকে কমাতে পারলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কিছুটা হলেও ঠেকানো সম্ভব। ঝুকিঁগুলো হলো: নারীদের সন্তান ধারণকালীন বয়সে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, কায়িক শ্রমের অভাব, বেশি বয়সে সন্তান ধারণ, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস, পূর্ববর্তী সন্তান ধারণের সময় ডায়াবেটিসের ইতিহাস, প্রি-ডায়াবেটিস বা পিসিওএস ইত্যাদি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওজনাধিক্য বা স্থূলতা। বর্তমানে কিশোরী তরুণীদের মধ্যে এই ওজনাধিক্যের প্রবণতা বেড়েছে। স্কুল কলেজ জীবন থেকেই উচ্চ ক্যালরি যুক্ত ফাস্ট ফুড, চকলেট, আইসক্রিম ও কোলা জাতীয় পানীয়ের প্রতি আকর্ষণ, কোনও রকম কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা, মোবাইল বা গ্যাজেটের প্রতি আসক্তি এই বয়সে ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। শহরে গ্রামে মফস্বলে কোথাও মেয়েদের খেলাধুলা, ব্যায়াম বা হাঁটাচলার পরিবেশ, নিরাপত্তা বা সুবিধা কিছুই নেই।
অন্যদিকে, গবেষণা বলছে আমাদের পরিবারগুলিতে বিশেষত মেয়েরা আমিষের তুলনায় অনেক বেশি খায় শর্করা ( কারণ আমিষের উচ্চমূল্য) তাই তারা অল্প বয়সেই মুটিয়ে যায়। বিয়ের পর এই মুটিয়ে যাবার প্রবণতা যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। বেশিরভাগ মেয়েই বিয়ের পরবর্তী এক বছরে অনেকখানি ওজন অর্জন করে। তারপর তারা যখন সন্তানধারণের পরিকল্পনা করে তখন ইতোমধ্যেই বিএমআই স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গর্ভধারণ পূর্ব চেক আপ বা পরামর্শ বা প্রি-কনসেপশন কাউন্সেলিং এর কোনও বালাই নেই আমাদের দেশে। বেশিরভাগ সন্তানধারণই অপরিকল্পিত এবং যখন খুশি তখনই হুট করে নিয়ে নেওয়া। সন্তান নেবার আগে কার প্রি-ডায়াবেটিস ছিল, কার থাইরয়েডের সমস্যা ছিল তার কিছুই জানা যায় না। জানা যায় সন্তান ধারণের পরে, যখন আর প্রতিরোধের সুযোগ নেই। অনেক ক্ষেত্রে তাও জানা যায় না, কারণ অজানা থাকতেই গর্ভপাত হয়ে যায় বা গর্ভে সন্তানের মৃত্যু ঘটে বা পরবর্তীকালে নানা জটিলতা দেখা দেয়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ট্রমা
দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বেশিরভাগ অন্তঃসত্ত্বা তরুণী ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর বিস্ময়াহত হয়ে পড়ে। আমার তো কোনওকালেই কোনও রোগ ছিল না, তবে আমার কেন ডায়াবেটিস হলো? আমার কি অপরাধ? আমি কি কোনও পাপ করেছি? এই মানসিক ট্রমা আরেক ধাপ বাড়ে যখন তারা শোনেন যে গর্ভকালে ইনসুলিন দিয়েই চিকিৎসা করতে হবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দিনে তিন বা চার বার ইনসুলিন, কারণ অন্য ওষুধগুলো এ সময় নিরাপদ নয়। নির্দেশিত খাদ্যসূচি, যেখানে মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই নিষেধ, একইসঙ্গে কমিয়ে দেওয়া হয় ভাত ও অন্যান্য শর্করা— সেটাও একটা বিষফোঁড়ার মতো লাগে। কে না জানে যে এই সময় কত ভাল-মন্দ খেতে ইচ্ছে করে মেয়েদের! এর সাথে যুক্ত হয় অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুকিঁ নিয়ে অজানা আশংকা, উদ্বেগ।
এমন সময় তাই স্বামী ও পরিবারের সাপোর্ট খুব জরুরি। ঠিক একইভাবে জরুরি এই কষ্টকর জার্নিতে স্বামীর সমভাবে অংশগ্রহণ এবং এমপ্যাথি। বেশিরভাগ মেয়েই সন্তান প্রসবের পর ফলো আপ থেকে হারিয়ে যান। কারণ সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুকিঁ নিয়ে যে আশংকাটা ছিল এতদিন তা কেটে গেছে। পরিবারও তাকে আর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কারণ সন্তান তো হয়েই গেছে, ফাঁড়া কেটে গেছে। এই মেয়েরাই পরবর্তী ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগী বা তার জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে আবার ফিরে আসেন। এতদিন কেন আসেননি— এই প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগেরই উত্তর— দরকার মনে করিনি তাই।
এই প্রশ্ন সামনে আসা উচিৎ যে, নারীর স্বাস্থ্যের যত্ন কি তবে দরকার কেবল মা হবার সময়ই? তার নিজের সুস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা বা সচেতনতা হবে কবে? এ প্রশ্নের উত্তর মেলে না। এই সব কিছু মিলিয়ে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে উঠছে বাংলাদেশের প্রজননক্ষম নারীদের এক বিশাল স্বাস্থ্য সমস্যা। কিন্তু জাতীয় বা সরকারিভাবে আমরা বিষয়টার গুরুত্ব হৃদয়ঙ্গম করতে পারছি কি?
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়
প্রথমত, দরকার ব্যাপক সচেতনতা। স্কুল কলেজ পর্যায় থেকে, মানে অবিবাহিত মেয়েদের মধ্যেই এ বিষয়ে সচেতনতা দরকার। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা যে তাদের আশু গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুকিঁ বাড়াচ্ছে প্রতিদিন এটা তাদের বোঝাতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে জোর দিতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় বা গ্রামে গ্রামে মেয়েদের ব্যায়াম, হাঁটা, সাইকেল চালানো বা খেলাধুলার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। দিতে হবে নিরাপত্তা।
দ্বিতীয়ত, সচেতনতা বাড়াতে হবে নবদম্পতির মধ্যে। বিয়ের পর সন্তান নেবার পরিকল্পনা করার সময় প্রি-কনসেপশনাল কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এতে করে অনেক বিপদই এড়ানো সম্ভব।
তৃতীয়ত, প্রতিটি অন্তঃসত্ত্বা নারী, সে শহরেই হোক কি গ্রামে, যেন গর্ভকালীন সময়ে অন্তত একবার, সেটা ২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে হলে ভালো, ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুযোগ পায়। এটি তার অধিকার। গর্ভকালে রক্তচাপ মাপা বা টিকা দেবার মতো রুটিন কাজগুলির পাশাপাশি সঠিক নিয়মে ডায়াবেটিস পরীক্ষাকেও সাধারণ নিয়মে পরিণত করতে হবে। ডায়াবেটিস পরীক্ষা খুব জটিল কোনও পরীক্ষা নয়, থানা বা কমিউনিটি লেভেলেও এটি কার্যকর করা সম্ভব।
চতুর্থত, বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য অনেক ওষুধের মতো ইনসুলিনও দরিদ্রদের মধ্যে বিনামূল্যে সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অন্তঃসত্ত্বা ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেন এটি পান সেদিকে নজর দিতে হবে। একইসঙ্গে, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় ‘জিডিএম’ বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের জন্য থানা, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে আলাদা কর্ণার করা যেতে পারে, যেখানে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা এর চিকিৎসা দেবেন ও ইনসুলিন সরবরাহ করবেন।
পঞ্চমত, শুধু গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য খাতে আলাদা প্রচারণা, বাজেট, কর্মসূচি দরকার। মনে রাখতে হবে, এটি অন্যান্য ডায়াবেটিসের চেয়ে আলাদা, এর ভিকটিম গোষ্ঠী আলাদা, এর চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। এর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের আলাদা প্রশিক্ষণ দরকার, দরকার একটি কমপ্রিহেনসিভ বা সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, যেখানে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডায়াবেটিস নার্স, পুষ্টিবিদ প্রমুখের সমন্বিত কর্মকাণ্ড দরকার হয়।
একটি সুস্থ পরবর্তী প্রজন্ম পেতে হলে যেমন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ঠেকাতে হবে, তেমনি আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের নানা রকম ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকে বাঁচাতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। দেরি করার আর সত্যিই সময় নেই।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম। কো অর্ডিনেটর, ডায়াবেটিস ইন প্রেগনেন্সি টাস্ক ফোর্স, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সমিতি।