জাতীয় নারী দলের কোচ পিটার বাটলার শনিবার (২৬ অক্টোবর) অনুশীলন শেষে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছে। এ নিয়ে খুবই হতাশ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার ও কোচ।
বিশেষ করে বাটলারের অভিযোগের আঙুল জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দিকে। তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই দলের সাবেক কোচ মেয়েদের বিরক্ত করে। তাদেরকে (ভালো না খেলতে) প্ররোচিত করে। এবং এরপর সেটার প্রতিক্রিয়া মেয়েদের কাছ থেকে পাই।”
বাটলার ছোটনকে চুপ থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “বাইরে থেকে তিনি মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন এবং দল ভালো করছে না বলে সমালোচনা করছেন। সাবেক এই কোচের চুপ থাকা উচিত। আমি তার পুরনো ট্যাকটিস নিয়ে তো কোনও কথা বলি না। আমার দল দারুণ পারফর্ম করছে। এমন সময় সে সমালোচনা করছে। এটা খুবই হতাশাজনক।”
যদিও গোলাম রব্বানী ছোটন সরাসরি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “উনার (বাটলার) ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এসব কথা বলছেন তিনি। তার এই বক্তব্যের প্রবলভাবে প্রতিবাদ জানাই আমি। আমার সঙ্গে এই দলের কোনও মেয়ের যোগাযোগ নেই। যাও সালাম বা দোয়া নেওয়ার জন্য ফোন করতো আগে, এখন সেই ফোনও ধরব না।”
যদিও এবার শুরু থেকেই দলের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র কোন্দলের গুঞ্জন। এরপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ভারতের সঙ্গে দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচের পরদিন টিম হোটেলে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দলের জয়ের বর্তমান কোচের চেয়ে পুরনো কোচের প্রশংসা করেন। সেদিন সাবিনা বলেছিলেন, “আমি ম্যাচের আগের দিন ছোটন (গোলাম রব্বানী) স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। ১৪ বছরের একটি বন্ডিং রয়েছে উনার সঙ্গে। আমার মনে হয়, নিজেকে যতটা না জানি, এর চেয়ে উনি বেশি জানেন আমাকে।”
সাবিনার এই মন্তব্য বর্তমান কোচ যে ভালোভাবে নেননি সেটা তার শরীরী ভাষাতেই বোঝা যাচ্ছিল। অনুশীলন শেষে বেশ ক্ষুব্ধ স্বরেই বলছিলেন, মেয়েদের এই দল নিয়ে কেউ হয়তো খেলছে।
অথচ রবিবার ভুটানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল। যে ভুটানকে গতবার ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলকেই কিনা এবার হারানোর আগে মাঠে ও মাঠের বাইরে শুরু হয়েছে নানা নাটক।