দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে বাড়ল সোনার দাম। এই দফায় দাম ছাড়িয়েছে সোয়া লাখের সীমানা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকায় বিক্রি হবে।
বাংলাদেশে এর আগে কখনই এত দামে সোনা বিক্রি হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সেই ঘোষণার দু’দিনের মাথায় একই মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়ানো হলো। সেইসঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য মানের সোনার দামও।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিবারই রেকর্ড সৃষ্টি করে দেশের বাজারে তৃতীয় দফা বাড়ল সোনার দাম।
এর আগে ১৮ আগস্টও সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
সে হিসেবে পাঁচ দিনের ব্যবধানে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ৫ হাজার ৯২৫ টাকা বেড়েছে।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১০ হাজার ৮০৩ টাকা লাগবে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাবে প্রতি ভরি কিনতে লাগবে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ২০ হাজার ২৭৯ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লাগবে ১ লাখ ৩ হাজার ১০০ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ৮৫ হাজার ২৪১ টাকায়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০২ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ১ লাখ ১ হাজার ৮৬২ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকায়।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।
২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রূপা ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।