দেশের বাজারে সোনার দাম চড়ছেই। একদিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ানো হয়েছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম আরও ১ হাজার ৮৫ টাকা বেড়েছে।
এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে ছয় দফায় বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। এই সময়ের মধ্যে ২২ ক্যারেট মানের সোনার দাম ভরিতে বেড়েছে ১০ হাজার ৩৮২ টাকা।
বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক গ্রাম সোনা কিনতে খরচ হবে ১০ হাজার ২৪৯ টাকা। এক ভরি সমান ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম হিসাবে প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।
একইভাবে ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ৮০ হাজার ৮৬৬ টাকায়।
টানা বাড়তে বাড়তে গত ১৮ এপ্রিল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় উঠেছিল।
সবশেষ বাজুস রবিবার রাতে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এরপর যদি আর ১০০ টাকাও বাড়ে, তাহলে সোনার দামে নতুন রেকর্ড হবে বাংলাদেশে।
রবিবার পর্যন্ত হলমার্ক করা এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১০ হাজার ১৫৬ টাকা লেগেছে। এক ভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার ১৩২ টাকায়।
রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণ বা পিওর গোল্ডের দাম বৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা আট দফায় ভরিতে ১০ হাজার ২৬৬ টাকা কমানোর পর গত ৪ মে সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। পরের দিন ৫ মে বাড়ানো হয় ৭৩৫ টাকা। ৭ মে এক লাফে বাড়ানো হয় ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা।
এরপর ১২ মে বাড়ানো হয় ভরিতে ১ হাজার ৮৩২ টাকা। ১৮ মে শনিবার বাড়ানো হয়েছিল ১ হাজার ১৭৮ টাকা। রবিবার থেকে ওই দর কার্যকর হয়।
সব মিলিয়ে ছয় দফায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ৩৮২ টাকা বাড়ানো হলো।