Beta
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মামলা বাতিল করবে সরকার

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন ছিল, আইন বাতিল হলে এর আওতায় হওয়া মামলাগুলোর কী হবে?

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সস্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে সে প্রশ্নও করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বিগত সময়ে নানা কালো আইন দিয়ে মানুষের মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। যেমন কোনও ব্যক্তি বা প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে নিয়ে আপনি কিছু লিখেছেন, সেজন্য আপনার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে এবং সাত বছরের সাজা হয়ে গেছে। এসব মামলা বাতিল করা হবে।

“অর্থাৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। অন্যান্য মামলা যেমন পর্নোগ্রাফি, মেয়েদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে এমন সব মামলা আইন অনুযায়ী চলবে।”

এর আগে সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, “গত বছর স্বৈরাচার সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন বোতলে এনে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু, উদ্দেশ্য ছিল একই, মানুষের কণ্ঠরোধ করা, দমানো। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে কত মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে, এর বিশাল অংশ ছিল মাইনরিটি। তাদেরকে জেল দেওয়া হয়েছে, হয়রানি করা হয়েছে। এজন্য কেবিনেটে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বাতিল করার।”

আেইন বাতিল হলে সাইবার সিকিউরিটির কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “সাইবার সিকিউটির একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যাকে আমরা সাইবার সেফটি বলি, বিশেষ করে নারীদের সেফটি। আমরা যারা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করছি, অনেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহার করেন। যেগুলোর মাধ্যমে সাইবার সমস্যা তৈরি বা হ্যাকিং হয়, এগুলো নিয়ে দ্রুত একটা আইন করা হবে। মূল ফোকাস থাকবে ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে বিষয়, যাতে আমরা ফিনান্সিয়াল ঝুঁকি প্রটেক্ট করতে পারি।”

মুজিব শতবর্ষের আয়োজন নিয়ে অপচয়ের ডকুমেন্টেশন হচ্ছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া মুজিববর্ষ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থ অপচয় করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

প্রেস সচিব জানান, এই কর্মসূচির নামে কত টাকা খরচ করা হয়েছে তার একটি ডুকমেন্টেশন করা হবে।

শফিকুল আলম বলেন, “আপনারা জানেন মুজিব বর্ষকে ঘিরে কীভাবে একটা উন্মাদনা হয়েছিল। মুজিব বর্ষে কী ধরনের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে সেটা নিয়ে ডকুমেন্ট করার কথা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। মুজিব বর্ষের নামে কোন মন্ত্রণালয় কত টাকা খরচ করেছে তা নিয়ে ডকুমেন্টেশন হবে। মুজিব বর্ষের নামে কোন কোন মন্ত্রণালয় কী কী খাতে কত টাকা অপচয় করেছে তার একটা তালিকা করা হবে।”

প্রেস সচিব আরও বলেন, “আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতছি। আইএমএফ-এর কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিব বর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি- কিছু ম্যুরাল বানিয়ে কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে।”

কেবল সরকারি কোষাগার থেকেই নয়, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও জোর করে অর্থ ব্যয় করানো হয়েছে, এমন অভিযোগও করেন তিনি।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত