ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠনের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে ইসলামী ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে গভর্নরের দপ্তরে সর্বস্তরের কর্মীদের পক্ষ থেকে এই চিঠি দেন ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের রিস্ক ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম রেজাউল করিম।
চিঠিতে বলা হয়, “দেশের সর্ববৃহৎ এই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের কিছু চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ।
“দীর্ঘদিন এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে।”
চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল স্টেকহোল্ডারের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তি অথবা প্রয়োজনে প্রাক্তন পরিচালকদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে পর্ষদ পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গভর্নরের পদক্ষেপ আশা করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নিলে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার পরদিন থেকে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মীরা।
এর জের ধরে গত ১১ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে ব্যাংকটির অন্তত ৬ জন কর্মী আহত হয় বলে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান আহসান এইচ মনসুর। বুধবার থেকে তিনি এই পদে কাজ শুরু করেছেন। এরপর বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গভর্নরকে চিঠি দিয়ে এলেন।