Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কেন আঁকল গ্রাফিতি

8
[publishpress_authors_box]

সফল একটি আন্দোলনের গল্প, ইতিহাস ও ঘটনাবলী স্মৃতি হিসেবে রাখতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতি এঁকেছে। লালমনিরহাট জেলার ছাত্র জনতাও আন্দোলনের শুরু থেকেই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো। 

লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীরা ৬ আগস্ট থেকেই শুরু করে গ্রাফিতি অংকনের কাজ। আগস্ট জুড়েই ছিলো গ্রাফিতিতে সাজানোর কাজ। লালমনিরহাটের অলি-গলি, বিদ্যালয়, বাসা-বাড়ি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার দেয়ালগুলো বিভিন্ন রঙে রঙিন করেছে তারা।

এমন একটি গ্রাফিতি “বিবেকেই আলো” এ বিষয়ে অংকন ও পরিকল্পনাকারী শিক্ষার্থী জান্নাতি আক্তার মিম জানান, নতুন দেশ সংস্কার তখনই সম্ভব হবে যখন আমাদের বিবেকের সংস্কার হবে। সুবিবেচক, বিবেকবান মানুষই নিঃসন্দেহে আদর্শ মানুষ। আদর্শ মানুষ দ্বারা দেশের কল্যাণ সম্ভব।

আর একটি গ্রাফিতিতে একজন ঘুষখোরের কানের নিচে সজোরে ঘুসি দিচ্ছে একটি হাত। এতে লেখা “আজ থেকে যেকোন কাজে এক পয়সাও ঘুষ চাইলে কানের নিচে বসিয়ে দিবেন”। এ গ্রাফিতিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মিম বলেন, “ঘুষ কেউ সরাসরি চাওয়ার সাহস পান না। ঘুষের সুযোগ আমরাই আমাদের ক্ষুদ্র স্বার্থে করে দেই। আমরা একটা সুন্দর দেশের স্বপ্নে আন্দোলন করে পরিবর্তন আনলাম। আমরাই যদি বলি আমার এই কাজটা করে দেন চা-পান খাওয়াবো তবে পরিবর্তন কোথায় হলো!”

“কথা বলতে শক্তির প্রয়োজন হয় না, শক্তির প্রয়োজন হয় চুপ থাকতে”- এটি এঁকেছে শিক্ষার্থী জান্নাতি। তিনি বলেন, “ইনি সেই উপস্থাপিকার হয়ে এবং এরকম পরিস্থিতির স্বীকার দেশের সকল মানুষের হয়ে আমার নিরব প্রতিবাদমূলক গ্রাফিতি এটি।”

“সীমান্তে লাশের বিনিময়ে শুধুই পতাকা বৈঠক আর কত?”- ফ্যালানির প্রতীকি ছবি ও সীমান্তের কাটাতারের বেড়া দিয়ে বানানো এই গ্রাফিতিটি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফেলানি এবং ফেলানির পরে এখনও সীমান্তে বাংলাদেশি খুন হয়। এটার কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা সময়ের দাবি।

আন্দোলন শেষ শিক্ষার্থীরা আরও অনেক গ্রাফিতি এঁকেছে। তারা বিশ্বাস করে সময় বদলে যায়, কিন্তু স্মৃতি বদলায় না। এই স্মৃতিগুলো দেয়ালে থাকবে গ্রাফিতি হিসেবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত