ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া রেস্তোরাঁ ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কোনও কাগজপত্র না থাকায় ঢাকার গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত কাচ্চি ভাইকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে রেস্তোরাঁর মালিককে তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার অভিযানে এ জরিমানা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েন।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি থেকে দেওয়া ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া এ রেস্তোরাঁর অন্য কোনও সংস্থার অনুমোদন নেই। অগ্নিনিরাপত্তা ছাড়পত্রের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
অভিযানের সময় রেস্তোরাঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে দেখা গেছে। ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার যেসব সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলোরও মেয়াদ ফুরিয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েন বলেন, “কাচ্চি ভাইকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর অন্যান্য সংস্থার অনুমোদন নিতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন না নিতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হবে।”
ভবনটির নিচতলায় গিরোস গ্রিক ফুড, ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁ, দোতলায় পেশোয়ার ডাইন, রাজ কাচ্চি, চারতলায় ক্যাফে সেলিব্রিটা রেস্তোরাঁ ও পাঁচতলায় কিংফিশার রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বারসহ একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। অভিযান শেষে ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্যানার টানিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
একইদিন অভিযানে গুলশানে সেবা হাউজ নামের একটি ভবনের মালিককে ৫০ হাজার টাকা ও ধানসিঁড়ি নামের একটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁর ভবনগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা না থাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই অভিযানের অংশ হিসেবেই আজ অভিযান চালানো হয় গুলশান এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়।