দেশের ভেতরে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও চাপের মধ্যে অবশেষে পদত্যাগে রাজি হয়েছেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি।
গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি সোমবার হেনরির পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
ওই দিন ভিডিও বার্তায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরি।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠনের পরপরই আমার নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ করবে।
“হাইতির জনগণ আমাকে দেশসেবার যে সুযোগ দিয়েছে, তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। দেশের সব নাগরিককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতির রাজনৈতিক রূপান্তর নিয়ে সোমবার জ্যামাইকায় বৈঠকে বসেন আঞ্চলিক নেতারা। ওই বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রী হেনরি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এরিয়েল হেনরি এ মুহূর্তে দেশে নেই। হাইতির বিভিন্ন সশস্ত্র গ্যাং তাকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না। এ কারণে ক্যারিবীয় দ্বীপ পুয়ের্তো রিকোতে অবস্থান করছেন তিনি।
২০২১ সালের জুলাইয়ে নিজ বাসভবনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। ওই মাস থেকে অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন হেনরি।
প্রায় তিন বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে হেনরির অবস্থানকে সহজভাবে নিচ্ছিলেন না হাইতির জনগণের বড় অংশই। কারণ হেনরি নির্বাচিত ছিলেন না।
হাইতির মানুষ প্রধানমন্ত্রীর আসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে দেখতে চাইছেন। তাই অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সম্প্রতি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রধান সড়কগুলো দখলে নিয়ে ফেলে দেশটির ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত গ্যাংগুলো।
পোর্ট-অ-প্রিন্স ও এর আশপাশের এলাকায় এক মাস ধরে জরুরি অবস্থা চলছে। কারফিউয়ের সময়ও আরও বাড়ানো হয়েছে।