গত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক ছিল মরক্কো। আফ্রিকার পরাশক্তিরা খেলেছিল সেমিফাইনাল। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশ, সোফিয়ান আমরাবাতের মত তারকারা থাকায় আফ্রিকান নেশনস কাপের ফেভারিটও ছিল মরক্কো। কিন্তু সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মো সালাহর মিসর, গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সাদিও মানের সেনেগালের মত শেষ ষোলতেই ছিটকে গেল মরক্কো।
নেশনস কাপের সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটিয়ে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৮ বছর আগে সর্বশেষ এই শিরোপা জেতা মরক্কো দেশে ফিরছে আরেকবার ব্যর্থ হয়ে। বিশ্বকাপের পর তারা হেরেছে কেবল দুটি ম্যাচ, দুটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে।
এভিডেন্স মাকগোপা ৫৭ মিনিটে লিড এনে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৮৪ মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুন সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফ হাকিমি মিস করেন পেনাল্টি।
ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় ইনজুরি টাইমে মরক্কোর ম্যানইউ তারকা সোফিয়ান আমারবাত লালকার্ড দেখলে। ফাউলের পর রেফারি প্রথমে দেখিয়েছিলেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, যা নিয়ম অনুযায়ি লালকার্ড হয়ে যায়।
এরপর ভিএআর ডেকে পাঠান রেফারিকে। মরক্কোর ফুটবলাররা আশা দেখেন কিছুটা। মনিটরে চেক করে হলুদ কার্ড তুলে নিয়ে সরাসরি লালকার্ড দেখান রেফারি! দুবার লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সোফিয়ানকে।
ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে তেবোহো মোকোয়েনার গোলে ২-০ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছাড়ে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। এভাবে বাদ পড়ে নিজেদেরই দায় দিলেন মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগারেগি, ‘‘আমরা বিরতির আগেই ম্যাচ শেষ করতে পারতাম। এই পর্যায়ের ফুটবলে এতগুলো মিস করলে প্রতিপক্ষ আপনাকে শাস্তি দিবেই।’’
কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি
২ ফেব্রুয়ারি
নাইজেরিয়া-অ্যাঙ্গোলা
ডিআর কঙ্গো- গিনি
৩ ফেব্রুয়ারি
মালি-আইভরিকোস্ট
কেপ ভার্দে-দক্ষিণ আফ্রিকা