Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানে নিহত

ইসমাইল হানিয়া
ইসমাইল হানিয়া
[publishpress_authors_box]

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানে নিহত হয়েছেন।

বুধবার পৃথক বিবৃতিতে হামাস ও ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড এ তথ্য জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে।

ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতী জায়নবাদী হামলায়’ তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়া।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ ভোরে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে আকস্মিক হামলা হয়। হামলায় তিনি এবং তার এক দেহরক্ষী শহীদ হন।”

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্তের পর শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।

১৯৬২ সালে গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করা ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর চেয়ারম্যান ছিলেন।

গাজা থেকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূ-খণ্ডে হামাস যে নজিরবিহীন হামলা চালায়, তার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা অনেক আগে থেকেই ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর হামাসপ্রধানের ভাই ও ভাতিজা ইসরায়েলের হামলায় মারা যান। পরের মাসে নভেম্বরে তার এক নাতিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলি হামলায় আরেক ছেলেকে হারিয়েছিলেন হানিয়া।

মঙ্গলবার ইরানের পার্লামেন্টে দেখা গিয়েছিল ইসমাইল হানিয়াকে। ছবি : ইপিএ

সর্বশেষ গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরের দিনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হয়।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজায় আরবি সাহিত্যে পড়াশোনা করার সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুক্ত হন হানিয়া। ১৯৯৭ সালে সংগঠনটির একটি শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

আশির দশকে ফিলিস্তিনিদের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থানের সময় হানিয়া ছিলেন সামনের কাতারের নেতা। গণঅভ্যুত্থান দমানোর অংশ হিসেবে ১৯৮৯ সালে তাকে বন্দি করে ইসরায়েল। টানা তিন বছর ইসরায়েলি কারাগারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১৯৯২ সালে ইসরায়েল ও লেবাননের মাঝে এক নোম্যান্সল্যান্ডে হামাসের অন্য নেতাদের সঙ্গে নির্বাসনে যান হানিয়া।                              

এক বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৯৩ সালে গাজায় ফেরেন তিনি। ১৯৯৭ সালে হামাসের আধ্যাত্মিক নেতার কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সংগঠনটিতে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেন হানিয়া।              

২০০৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিপুল আসনে জয় পেয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন হানিয়া। তবে এক বছর পর গাজায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে হামাসের সংঘাত বাধলে হানিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরান আব্বাস।         

প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে সেসময় ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন হানিয়া। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি থাকছিলেন কাতারে।          

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত