বাংলাদেশ ফুটবল নতুন স্বপ্ন দেখছে হামজা চৌধুরীকে ঘিরে। হামজার হাত ধরে উন্নতির আশাই করছেন বাফুফে কর্তারা। আজ সিলেটে তাকে বরণ করতে গিয়েছিলেন বাফুফের কয়েকজন কর্তা। কিন্তু আয়োজনটা সুশৃঙ্খল ছিল না মোটেও। ভিড়, ধাক্কাধাক্কিতে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত আয়োজন করতে পারেনি বাফুফে।
স্ত্রী, সন্তানসহ দেশে এসে মধুর এই বিড়ম্বনার মাঝেই সিলেট থেকে হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে পৌঁছান হামজা। স্থানীয়রা তাকে স্বাগত জানানোর জন্য স্থাপন করেছেন তোরণ।
ছাদখোলা গাড়িতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাঝে এসব উপভোগ করতে করতেই স্নানঘাট পৌঁছান হামজা। তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমান হাজারো জনতা। দেখতে দেখতে সেই ভিড় পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে, যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল স্থানীয় প্রশাসন।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান গণমাধ্যমে এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘হামজার বাহুবল আগমনকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হামজা যতক্ষণ এলাকায় অবস্থান করবেন আমরা ততক্ষণ তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দেব।’’
ছেলের আগমনে আপ্লুত তার বাবা মোর্শেদ দেওয়ান চৌধুরীও। তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আজ আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের দিন। খুব ভালো লাগা কাজ করছে।’’
বাড়িতে আসা হাজারো জনতার সামনে এসে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হামজা চৌধুরী। একটা সময় তিনি নিজেই স্লোগান ধরেন, ‘‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’’।
হামজার সঙ্গে সুর মেলাচ্ছিলেন হাজারো জনতা। এই বাংলাদেশের ফুটবলের মান বাড়াতেই তো তার বাংলাদেশে আসা।