দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েও ডেভিস কাপে যাওয়া হচ্ছিল না হানিফ মুন্নার। আগামী ২০-২৩ নভেম্বর বাহরাইনে হবে ডেভিস কাপ এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের গ্রুপ-৫ এর প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের ৬ সদস্যের খেলোয়াড় তালিকায় ছিলেন তিনি।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হানিফকে বাংলাদেশ দল থেকে বাদ দিয়েছিল টেনিস ফেডারেশন। যদিও হানিফের দাবি, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দারের রোষের শিকার হয়ে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সোমবার সকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই সংবাদটি আমলে নেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কেন একজন সেরা খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েই ডেভিস কাপের জন্য দল গড়া হয়েছে, টেনিস ফেডারেশনের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত, “ডেভিস কাপে হানিফকে বাদ দিয়ে হায়দারের প্রতিশোধ” শীর্ষক সংবাদটি (কপি সংযুক্ত) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এতদসংক্রান্তে আপনার বক্তব্য প্রতিবেদন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে প্রেরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ওদিকে অন্যায়ভাবে বাদ পড়া নিয়ে দিনভর ফেডারেশনে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন মুন্না। দলের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন ও ফেডারেশনের কোষাধক্ষ খালেদ আহমেদকে আটকে তার কাছে জানতে চান, কেন তিনি বাদ পড়েছেন।
পাশের কক্ষে ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার। তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, “বাছাই কমিটির আহবায়ক খালেদ সাহেবকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে দলে না নিলে মুক্তি দেওয়া হবে না খালেদ সাহেবকে। ফেডারেশনের স্বার্থ ও শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে তাকে দলে নিতে হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করে।” যদিও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এক রকম বাধ্য হয়েই হানিফকে দলে নিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন সাধারণ সম্পাদক।
জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হানিফ বলেন, “আমাকে অন্যায়ভাবে বাদ দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি দলে আবারও সুযোগ পেয়েছি। সেই চিঠিও ফেডারেশন আমাকে দিয়েছ।”
আগামী ১৮ নভেম্বর ডেভিস কাপ খেলতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।