Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

আবাহনীর শীর্ষে থাকার পেছনে কম্পিউটার অ্যানালিস্ট!

Abahani
[publishpress_authors_box]

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখন বিরতি। ঈদের আগের আট রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আবাহনী। অথচ লিগের শুরুতে রাজনৈতিক পালা বদলের কারণে লিগের সর্বোচ্চ সফল দলটিকে এবার গোনায় রাখেনি অনেকেই।  

জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা ক্লাব ছেড়ে গিয়েছেন। আবাহনীকে টিকিয়ে রাখতে দলে নেওয়া হয় মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুনদের মতো অভিজ্ঞদের। মোসাদ্দেক হোসেন আগে থেকেই আবাহনীর সঙ্গী, নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে যুব বিশ্বকাপ খেলা এক ঝাঁক তরুণরা চলতি মৌসুমে এই দলের সারথী।

অথচ মোহামেডান ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে তারকা ক্রিকেটারের ভীড়। জাতীয় দলের বেশিরভাগ হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটার এই দুই দলে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এবারের লিগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এ দুই দলকেই ধরে রেখেছে।

চমক উপহার দিয়ে বিরতিতে লিগ তালিকায় শীর্ষে আবাহনী। এর পেছনের কারিগর দলটির নতুন কোচ হান্নান সরকার। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ও সাবেক নির্বাচক হান্নান এবারই প্রথম কোচিং শুরু করেছেন।

কোচিংয়ে শুরুর লেভেলের কোর্স করে এখন বড় পর্যায়ের জন্য তৈরি হান্নান নিজের পছন্দের জায়গাতে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। এর আগেও আবাহনীর কোচ ছিলেন তিনি। আবারও সুযোগ তৈরি করে সঠিক পরিকল্পনায় এগিয়ে চলেছেন।

প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবার কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক টেস্টের দুই ইনিংসে ফিফটি পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার। তার উদ্যোগেই এবার লিগে একমাত্র আবাহনীরই আছে কম্পিউটার অ্যানালিস্ট। ক্রিকেট এখন অ্যানালিস্ট ছাড়া আসলে ভালো করা কঠিন।

একজন অ্যানালিস্ট নিয়ে কাজ শুরুর ব্যাপারটি হান্নান সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছে এভাবে, “আসলে আমি আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যদি কোচিংয়ে আসি তাহলে আমি প্রস্তুত হয়েই আসবো। যেহেতু প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই শুরু করছি তাই চেয়েছিলাম একটু ব্যতিক্রমী হতে। তা হলো আমার দলে একজন কম্পিউটার অ্যানালিস্ট থাকবে যিরি আমাকে অনেক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে পারবে। দেশে অ্যানালিস্টের অভাব আছে এটা ঠিক, তবে অনেক দলেরই এদিকে আগ্রহ নেই। তাই আমি এই ব্যতিক্রমটা আনতে চেয়েছিলাম।”

অ্যানালিস্ট থাকাতে বিপক্ষ নিয়ে পরিকল্পনা করতে সুবিধা হচ্ছে আবাহনীর। ক্রিকেটারদের হিসেবে হান্নানের খ্যাতি খুব হলেও পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছেন এবং তাতে সাফল্য আসছে।

সঠিক পরিকল্পনার কারণে তরুণ দল নিয়েও শীর্ষে থাকা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন এই তরুণ কোচ, “প্রিমিয়ার লিগে আমরা অনেক সময় অচেনা ক্রিকেটার পাই। তাদের নিয়ে পরিকল্পনা সাজানো সহজ হয়। বর্তমানের ক্রিকেটটা মাঠের চেয়ে অনেক বেশি পরিকল্পনা নির্ভর। আর সেটা আরো সহজ হয় একজন অ্যানালিস্ট থাকলে। আমাদের সঙ্গে যে আছে সে খুব অভিজ্ঞ না, আবার একদম নতুনও না। আমি আশা করবো, নতুন নতুন অ্যানালিস্ট উঠে আসবে ক্রিকেটে।”

এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সকাল সন্ধ্যার কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতি আটকে থাকার পেছনে অনেক কারণের কথা বলেছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আঙ্গুল তুলেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোর দিকে।

বছরে ১২-১৩ ম্যাচের বিপিএল ( টি-টোয়েন্টি ) ১৬ ম্যাচের প্রিমিয়ার লিগ (ওয়ানডে) আর প্রথম শ্রেণীর ৮-৯ ম্যাচ খেলে ক্রিকেটেরদের টেস্টে উন্নতির খুব সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।

একই সঙ্গে কোন দলেই যে কম্পিউটার অ্যানালিস্ট থাকে না, এ নিয়েও আক্ষেপ করেছিলেন সুজন। এতে করে আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের পরিচয়টাই হয় না। আবাহনীর কোচ হিসেবে হান্নান সরকার সেই চেষ্টা করছেন। আধুনিকতার ছোঁয়া এনে সফল হচ্ছেন। লিগ শিরোপা জিতলে পরে হান্নান সরকারের এই চেষ্টা সাফল্যের বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত