টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। তাদের এই জয়ে আনন্দ থাকলেও তাতে আছে বিতর্কের ছোঁয়া। সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ইংল্যান্ডের সমতায় ফেরা হ্যারি কেইনের পেনাল্টি গোলটি। প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি পেনাল্টি ছিল? ম্যাচ শেষে কেইনের দাবি, এটি পেনাল্টি ছিল।
সিগনাল ইদুনা পার্কের সেমিফাইনালে সপ্তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। যদিও সমতায় ফিরতে সময় লাগেনি তাদের। ১৮তম মিনিটে কেইনের পেনাল্টি গোলে খেলায় ফেরে থ্রি লায়ন্স। এই পেনাল্টি নিয়েই যত আলোচনা-সমালোচনা। ডাচদের বক্সে লাফিয়ে ওঠা বলে শট করেছিলেন কেইন। বল তার পায়ে লেগে বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু এর আগে নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডার ডেনজেল ডামফ্রিসের পায়ের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কেইনের।
রেফারি অবশ্য বাঁশি বাজাননি। খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। খানিক পর ভিএআর জানায় সম্ভাব্য পেনাল্টির কথা। এরপর রেফারি মাঠের পাশের মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, সেটি ফাউল ছিল না।
যিনি ফাউলের শিকার হয়েছিলেন এবং স্পট কিক থেকে গোল করেছেন, সেই কেইন অবশ্য ‘সঠিক সিদ্ধান্তের’ কথা বলেছেন। পেনাল্টি হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে ইংলিশ অধিনায়কের বক্তব্য, “আমার পা ঝুলে ছিল, অবশ্যই সে আমাকে বাধা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে এটা (পেনাল্টির সিদ্ধান্ত) আপনার পক্ষে আসবে, কখনও আসবে না।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “গোলের উৎস তৈরি করে পরবর্তীতে বল জালে জড়াতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। অবশ্যই এটা দারুণ অনুভূতির।”
যদিও এই পেনাল্টির সিদ্ধান্তকে সঠিক মানছেন না ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল। তার মতে, এটা পেনাল্টি ছিল না, “ডিফেন্ডার হিসেবে আমি মনে করি, এটা লজ্জাজনক। স্বাভাবিকভাবেই (ডামফ্রিস) শট ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। এটা পেনাল্টি হওয়ার ধারেকাছেও ছিল না। সত্যি বলতে এটা পেনাল্টি নয়। আমার মনে হয়, বক্সে এমন শট ঠেকানোর সুযোগ আছে।”