তিন ম্যাচে ২০ গোল করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ (সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে )। দাাপট ছিল বুন্দেসলিগাতেও। জিতেছিল টানা চার ম্যাচ। তাদের থামাল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুজেন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুন্দেসলিগার ম্যাচটিতে ১-১ গোলে ড্র করেছে দুই দল।
গোলের জন্য বায়ার্ন শট নিয়েছিল ১৮টি, সেখানে লেভারকুজেনের প্রচেষ্টা ছিল ৩টি। এমন পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠছে ম্যাচের ছবিটা। ৩১ মিনিটে রবার্ট আন্দরিচ এগিয়ে নিয়েছিলেন লেভারকুজেনকে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার আগুনে ভলি জড়ায় জালে।
ফল
প্রিমিয়ার লিগ
আর্সেনাল ৪ : ২ লেস্টার সিটি
চেলসি ৪ : ২ ব্রাইটন
উলভস ১ : ২ লিভারপুল
বুন্দেসলিগা
বায়ার্ন ১ : ১ লেভারকুজেন
লাইপজিগ ৪ : ০ অগসবুর্গ
সিরি ‘এ’
জেনোয়া ০ : ৩ জুভেন্টাস
উদিনেস ২ : ৩ ইন্টার মিলান
৩৯তম মিনিটে সমতায় ফিরে বায়ার্ন। বুক দিয়ে বল নামিয়ে ৩০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরাল ভলিতে গোলটি করেছিলেন পাভলোভিচ। এরপর আর গোলের দেখা পায়নি দুই দল। পয়েন্ট হারানোর পাশাপাশি বায়ার্ন ইনজুরির জন্য হারাতে পারে হ্যারি কেইনকেও।
৮৬ মিনিটে গোঁড়ালির ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন কেইন। তার চোট নিয়ে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি জানালেন, ‘‘আমি ডাক্তার নই। এখনই তাকে নিয়ে বলাটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আশা করছি বুধবার সে খেলবে (চ্যাম্পিয়নস লিগে)।’’
বায়ার্নের স্পোর্টিং ডাইরেক্টর ম্যাক্স এবার্ল অবশ্য শঙ্কিত, ‘‘ কেইন যখন মাঠ ছাড়ে তখন বুঝতে হবে কিছু একটা হয়েছে।’’
পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে বায়ার্ন। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ। তিন জয়, এক ড্র ও এক হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে লেভারকুজেন।
সেরা ছন্দে না থাকলেও শীর্ষে লিভারপুল
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হারের সুযোগটা কাজে লাগিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল। নিজেদের সেরাটা খেলতে না পারলেও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সকে ২-১ গোলে হারায় অলরেড খ্যাত দলটি।
বিরতির আগে ইব্রাহিম কোনাতের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। শর্ট কর্নার থেকে দিয়োগো জটার ক্রসে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। ৫৬ মিনিটে লিভারপুলের রক্ষণের ভুলে সমতা ফেরান উলভসের রায়ান নুরি।
৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মোহামেদ সালাহর গোলে জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ১৫। সমান ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ১৪, আর্সেনালের ১৪ আর চেলসির ১৩।
অপর ম্যাচে কোল পালমারের চার গোলে চেলসি ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাইটনকে। ২১ থেকে ৪১-এই ২০ মিনিটে চার গোল করেন পালমার। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিরতির আগে চার গোল করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
পালমার হ্যাটট্রিক করেছিলেন ১১ মিনিটের ব্যবধানে। তার চার গোলের একটি দূরপাল্লার ফ্রিকিক আরেকটি পেনাল্টি থেকে। গত মৌসুমে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর টানা ১০টি পেনাল্টি থেকে গোল করলেন তিনি।