জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় করা একটি মামলায় ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
হাসানুল হক ইনু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে গণবাহিনীর উপ-প্রধান ছিলেন তিনি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও ছিল তার সক্রিয় ভূমিকা।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের অন্যতম শরীক জাসদ। হাসানুল হক ইনু ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর শরীক জোটগুলোর কোন শীর্ষ নেতাকেই প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি ছাত্র-জনতা হত্যাসহ নানা মামলায় আসামিও করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও শরীক জোটের শীর্ষ নেতাদের।
সবশেষ হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেল।
গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে যখন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন তুঙ্গে, তখন হাসানুল হক ইনুও কোটা সংস্কারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
১৭ জুলাই এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি চাই কোটা সংস্কার হোক। কোটা সংস্কারের যে আন্দোলনে ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে আমি মনে করি এটা সমাধানযোগ্য।”
সরকারকে দায়িত্বশীল প্রতিনিধি পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।