Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনার আটে ৮

প্রধানমন্ত্রী
ভোট দেওয়া শেষ হলে বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন প্রদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফিরে প্রতিকূল অবস্থায় দলের হাল ধরে ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সে থেকে যতবার নির্বাচন করেছেন, ততবারই সংসদে গিয়েছেন তিনি। সেই ধারায় এবার অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার আগেও ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।

রবিবার সারাদেশে ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নির্বাচন ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) বরাবরের মতোই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

পৈত্রিক এলাকায় নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভোটের সংখ্যার হিসাবে রয়েছেন বহু দূরে। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সেই প্রার্থী এম নিজামউদ্দিন লষ্কর একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট। অর্থাৎ জামানত হারিয়েছেন তিনি।

ভোটের এত বেশি ব্যবধানে এবার অন্য কোনো আসনে দেখা যায়নি।

বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনের ভোটের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ অধিকাংশ আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে। ফলে ক্ষমতায় শেখ হাসিনাই থাকছেন।

গোপালগঞ্জে প্রার্থী হলেও শেখ হাসিনা ভোটার ঢাকায়। রবিবার সকালেই মেয়েকে নিয়ে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী
রবিবার সকাল ৮টার কিছু পরেই ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান শেখ হাসিনার জন্ম টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়া শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তখন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

তখন ছয় বছর ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে দলের হাল ধরে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন।

রাজনৈতিক সংগ্রামে অনেকবার কারাগারে যেতে হয়েছিল তাকে। কমপক্ষে ১৯ বার তাকে হত্যায় হামলাও চালানো হয়েছিল। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে হয়েছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা, সেই গ্রেনেড হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান তিনি।

১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর প্রথম সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর সরকার পরিচালনা করেন তিনি।

দ্বিতীয় বার তিনি প্রধানমন্ত্রী হন ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে। এরপর ২০১৪ সাল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি।

টানা ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাকে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত