বাংলাদেশের বামপন্থী আন্দোলনের পুরোধা হায়দার আকবর খান রনোর কর্ণিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখবেন দুই ব্যক্তি। রনো মৃত্যুর আগেই সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষুব্যাংকে তার চক্ষুদান করে করে যান।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এই বর্ষীয়ান উপদেষ্টা শনিবার প্রথম প্রহরে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুর সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ৬টায় সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষুব্যাংকের প্রতিনিধিরা রনোর কর্ণিয়া দুইটি সংগ্রহ করেন।
দেশের বিশিষ্ট কর্ণিয়াল সার্জন ডা. সৈয়দ এ হাসান আগামীকাল দুইজন দৃষ্টিশক্তিহীনের চোখে ওই কর্ণিয়া সংযোজন করবেন। তবে ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
সিপিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হায়দার আকবর খান রনোকে শেষ বিদায় জানানো হবে সোমবার। সকাল ১০ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লাশ থাকবে পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ে, সেখান থেকে শোক শোভাযাত্রা যাবে শহীদ মিনারে। সেখানে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব চলবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে হবে জানাজা।
দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গত ৬ মে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় নানা বাড়িতে। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০০৯ সালে মতভিন্নতার কারণে এই দলটি ছেড়ে সিপিবিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে তাকে সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়। সর্বশেষ ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীতে।