বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চারটি পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৩৬ বছর আগে ভারতীয় শাড়ি জব্দের এক মামলার রায়ে এ পরামর্শ দেয় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ।
গত বছরের ৩ আগস্ট মামলাটির সংক্ষিপ্ত রায় দেওয়া হয়েছিল। শনিবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
১৯৮৭ সালে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি ঊদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে ৩ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়ে এই রায় হয়।
১১ পৃষ্ঠার রায়ে জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে সীমান্ত রেখা থেকে দেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল বিজিবির সম্পত্তি ঘোষণা করাসহ চারটি পরামর্শ দেন এই বিচারক।
লিখিত রায়ে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকারী ভাবে রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হলে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে মহান জাতীয় সংসদকে নিম্ন বর্ণিত পরামর্শসমূহকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।”
পরামর্শ
১. সীমান্ত রেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল পর্যন্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সম্পত্তি ঘোষণা করা।
২. এই ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি থেকে তাদের বরাদ্দ দেওয়া।
৩. সীমান্ত রেখা থেকে ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান রাখা, যাতে এই ৮ কিলোমিটারের প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিষ্কার দেখা যায়।
৪. সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
এ রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইল এর মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আদেশ দিয়েছেন রায় প্রদানকারী বিচারক।
পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সদস্যদের ই-মেইল এর মাধ্যমেও পাঠাতে বলা হয়েছে।