রাজশাহীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজে চাঁদা দাবির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
আদেশে আগামী সাত দিনের মধ্যে চাঁদা দাবির ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রধান, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং বোয়ালিয়া থানার ওসিকে এ নির্দেশ প্রতিপালন করতে হবে।
একইসঙ্গে নির্মাণকাজে বাধাদানকারিদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রাজশাহীর পাউবোতে নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল। ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই কাজ করছে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খন্দকার কনস্ট্রাকশন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই ম্যুরাল নির্মাণের কাজ শুরুর পর থেকেই বিহারি কলোনি, শালবাগান, উপশহর ও সপুরা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সোমবার সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় একটি জিডি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মঙ্গলবার তা আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী কেএম সাইফুদ্দিন ও আইনজীবী অজি উল্লাহ।
অজি উল্লাহ বলেন, প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে নিয়ে রুল জারি করেন। রুলে বাধাদানকারিদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।