পরিবেশ রক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছ কাটা বন্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তাপমাত্রা বাড়ায় দেশের জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এসব সংবাদ যুক্ত করে গত ৫ এপ্রিল জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেছিল মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, “সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়েছে আদালত।”
রুলে আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধান অনুযায়ী গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
এছাড়া গাছ কাটা বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সাতদিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের সমন্বয়ে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।
গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি করে দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেটিও জানতে চেয়েছে আদালত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, ঢাকা দুই সিটির মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, পুলিশ প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
