টেস্ট ক্রিকেটের কথা বললে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ। একটা সময় তাকে ‘সবচেয়ে সেরা’ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সময়ের স্রোতে কোথায় যেন হারালেন এই ব্যাটার। রান যে পাচ্ছিলেন না, তা নয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না। অবশেষে স্বরূপে ফিরলেন স্মিথ। দীর্ঘ দেড় বছর পর সেঞ্চুরি রাঙালেন ভারতের বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টে।
স্মিথ নিজেকে খুঁজে পাওয়া ম্যাচে আরেকবার ভারতের ‘ঘাতক’ হিসেবে সামনে এলেন ট্রাভিস হেড। ভারতকে সামনে পেলেই জ্বলে ওঠার নমুনা আরেকবার তিনি রাখলেন ব্রিসবেনে। অ্যাডিলেডের পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন হেড। তার সঙ্গে স্মিথের শতকে দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে করেছে ৭ উইকেটে ৪০৫ রান।
আরেকবার দুর্দান্ত বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন জসপ্রিত বুমরা। গতিঝড় তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এরপরও দিনটা অস্ট্রেলিয়ার। স্মিথ-হেডের চমৎকার সেঞ্চুরিতে ৪০০ ছাড়ানো স্কোর গড়ে রান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় স্বাগতিকরা।
প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হয়েছিল মোটে ১৩.২ ওভার। দুই ওপেনার উসমান খাজা ও নাথান ম্যাকসিনি দ্বিতীয় দিনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। খাজা ২১ রানে ও ম্যাকসিনি আউট হন ৯ রানে। মার্নাস লাবুশেনও (১২) বিদায় নিলে ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে শুরু স্মিথ-হেডের জাদু।
অ্যাডিলেডে দিবারাত্রির টেস্ট যেখান শেষ করেছিলেন হেড, সেখান থেকেই ব্রিসবেন টেস্ট শুরু করেছেন তিনি। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৬০ বলে খেলেছেন ১৫২ রানের ইনিংস। মেরেছেন ১৮ বাউন্ডারি।
তাকে যোগ সঙ্গ দিয়ে ২০২৩ সালের জুনের পর প্রথমবার টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্মিথ। এই ব্যাটার ১০১ রান করে আউট হয়েছেন। ১৯০ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১২ বাউন্ডারিতে।
স্মিথ ও হেডের বিদায়ের আগে-পরে আউট হয়েছেন মিচেল মার্শ (৫) ও প্যাট কামিন্স (২০)। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন অ্যালেক্স ক্যারি (৪৫*) ও মিচেল স্টার্ক (৭*)।
