ক্ষমতার পট পরিবর্তনে স্বাস্থ্য বিভাগে অস্থিরতার মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হলো স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালককে।
তাদের তিনজনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান।
তাদেরকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্য সব ক্ষেত্রের মতো স্বাস্থ্য প্রশাসনেও অস্থিরতা চলছে।
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর।
সোমবার সকালে ঢাকার মহাখালীতে ডিএনসিসি হাসপাতালে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করে। তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের পদত্যাগের দাবি তুলেছিল।
এই বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পরই অধ্যাপক টিটো মিঞা স্বেচ্ছা অবসরের আবেদন করার কথা সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ টিটো মিঞার চাকরি আরও ছয় মাস ছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি আগেই অবসরের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. টিটো মিঞা ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।
ওএসডি করা নিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচলক বায়জীদ খুরশীদ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
গত ২১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক পদে ছিলেন।
অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসানকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।